জি নিউজ ডেস্কঃ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ, গণনা ও ফল প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনটির ওপর অবকাশের পরে শুনানি করা হবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ ও বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, অবকাশ শেষে আগামী ২ জানুয়ারি থেকে সুপ্রিমকোর্টের নিয়মিত কার্যক্রম চালু হবে। সে অনুযায়ী ভোটের পরে এই রিটের শুনানি হবে। এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ও ঢাকা-৮ আসনের লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ইউনুছ আলী আকন্দ এই রিট করেন।
রিটে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাধ্যমে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় ব্যর্থতা কেন অসংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না এবং সারা দেশের সব কেন্দ্রে সেনাবাহিনী দিয়ে ভোট গ্রহণ, গণনা ও ফল প্রকাশের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়েছে।
এ ছাড়া নির্বাচনে জোট গঠন করে একদলের প্রার্থী অন্য দলের সভাপতির ছবি ব্যবহার এবং একদলের প্রার্থী অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতেও রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে এই রিটে।
রুল জারির পর তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এক দলের প্রার্থী অন্য দলের প্রতীক ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দরখাস্তকারীদের গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া রিটকারী ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একজন গানম্যানসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ চাওয়া হয়েছে। রিটে ২০ দল বা ১৪ দল নামে জোট গঠন করে নির্বাচন করার ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন তার নিজস্ব কর্মকর্তাদের দিয়ে নির্বাচন করবে কিন্তু সেটা না করে এতে প্রশাসনকে দিয়ে নির্বাচন করছে- এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।