স্বাধীনতার ৪৭ বছর, একাদশ সংসদ নির্বাচনে আ.লীগ, যেন সর্ষের ভেতর ভূত অবস্থা

0
30

জি নিউজ ডেস্কঃ স্বাধীনতার ৪৭ বছর উদযাপনের সময় একাদশ সংসদ নির্বাচন ছদ্মবেশী শত্রুপক্ষ থেকে সতর্ক থাকতে হবে আ.লীগকে। এ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর সপক্ষের শক্তিকে জয়ী করতে হবে। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে স্বাধীনতার বিরোধী শক্তির নীরবতা এমনিতেই ভয়ংকর আভাস৷ বলতে গেলে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের মূল শক্তি জামায়াত শিবিরের প্রকাশ্য অবস্থান নেই দীর্ঘ সময় ধরে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মধ্য দিয়ে তাদের নিষ্ক্রিয়তা শুরু হয়েছে। কিন্তু তাই বলে তার নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে তা নয়। বরং নিজেদের শামুকের মত গুটিয়ে রেখে বিষাক্ত দংশনের ছোবল দেবে এমনটাই শংকা রয়েছে জনগণের মাঝে।

নির্বাচনে তারা বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে নেমেছে। আর তারা বিএনপির সাথে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে অন্যভাবে।

হারজিতের ভোটের লড়াইয়ের আগেই ‘৭১-এর সপক্ষের শক্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগের মূল দলসহ নানা অঙ্গ সংগঠনে তারা আশ্রয় নিয়েছে নিজেদের ভোল পালটে। এরা ঘোষণা দিয়ে দল বদল বা হাইব্রিড হিসেবে যোগদান করেনি। আবার জামায়াতের সুপরিচিত মুখরা যে এসেছে দলে তাও নয়। জামায়াত শিবির তৃনমূল পর্যায়ে থেকে একটি সুংগঠিত দল। এরা নানাভাবে প্রশিক্ষিত। সন্ত্রাসী কার্যক্রম থেকে শুরু করে দেশবিরোধী সকল কিছু মিশে আছে তাদের অস্থিমজ্জাতে। তাই রাতারাতি এরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করবে না। এরা কোনদিন ধারণ করতে পারেনি আর পারবে না এটাই সত্য।

কেন্দ্রীয়ভাবে আওয়ামী লীগের ভেতরে মুক্তিযুদ্ধের এ বিপক্ষের শক্তির অনুপ্রবেশ হওয়ার চেয়ে অনেক বেশি প্রবেশ করেছে দেশের বিভিন্ন এলাকাতে আওয়ামী ছাত্রলীগের সর্মথনকারীর ছদ্মবেশে। যা নিয়ে বিগত সময় ধরে দলের নেতা সমর্থনকারীরা বলে আসছে। তবে ফলাফল আসেনি সেভাবে।

দুইবার ক্ষমতায় আসা আওয়ামী সরকার অত্যন্ত সুনিপুণভাবে দেশের উন্নয়ন সাধনের পাশাপাশি অপশক্তির দমন করেছে। যার কারণে দেখা যায় এ দলকে বেকায়দা ফেলতে জঙ্গিবাদীরা বারবার সক্রিয় আছে কোন না কোনভাবে। সে ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনার সরকার আর আওয়ামী লীগের বিনাশ ঘটাতে এদের আওয়ামী লীগের লেবাস ধারণ করাকে অমূলক মনে করা যায় না।

নির্বাচনের কিছুদিন আগেও দেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোন দল আছে বলে মনে হয়নি। তাই যদি সত্যি হতো নির্বাচনের ভাষা হতো ভিন্ন। সংবাদে প্রতিদিন দেখা যাচ্ছে নৌকা আর ধানের শীষের হামলার ঘটনা। আওয়ামী লীগ একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় আসতে চায়। আবার ভোটের জোয়ারে নৌকার পাল্লা ভারী। এমন অবস্থায় আওয়ামী সর্মথনকারীদের মধ্য থেকে কে বা কারা সংঘাতময় পরিবেশ সৃষ্টি করছে তা খুঁজে বের করতে হবে।

কথায় আছে ‘সর্ষের ভেতর ভূত আছে’ – এ ভূত কখনও ভালো কিছু বয়ে আনবে না। বিশেষ করে ছাত্রলীগসহ অন্য সহযোগী সংগঠনগুলোর এ বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা অতীব জরুরি।

বিজয়ের মাসে এবারের নির্বাচনকে অর্থবহ করে তুলতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হাতিয়ার করে জাগ্রত হতে হবে আওয়ামী লীগকে। আর সে জন্য মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের মিথ্যা লেবাসধারীদের দল থেকে খুঁজে বের করতে হবে। অন্যথায় সংঘাতময় নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে জনগণ আরও বেশি শংকিত হবে। সূত্র: চ্যানেল আই

কোন মন্তব্য নেই