জি নিউজ(ধর্ম)ডেস্কঃ হজ্ব ইসলামের পঞ্চ বুনিয়াদের একটি, বান্দার ওপর আল্লাহতাআলার ফরজ বিধান।যা সামর্থ্যবানদের ওপর হজ্ব আদায় করা ফরজ।কেউ যদি হজ্ব ফরজ হওয়ার বিষয় কে অস্বীকার করে,সে নিসন্ধেহে কাফির হয়ে যাবে।হজ্বের নির্দেশ দিয়ে আল্লাহতাআলা ইরশাদ করেন:-
“বাইতুল্লাহ শরীফে পৌছতে সামর্থ্যবান লোকদের ওপর আল্লাহর উদ্যেশ্যে বাইতুল্লাহর হজ্ব আদায় করা কর্তব্য। কেউ যদি তা মান্তে অস্বীকার করে, তাহলে(সে জেনে নিক)আল্লাহ সৃষ্টির প্রতি মুখাপেক্ষী নন।”(সুরাহ,আলে ঈ’মরান,৯৭)
হজ্ব অত্যান্ত গুরুত্ব পূর্ণ ইবাদত। কার ওপর হজ্ব ফরজ হলে,বিলম্ব না করে সাথে সাথেই তা আদায় করা উচিত।অবশ্য বিলম্ব করে কয়েক বছর পরে আদায় করলেও আদায় হয়ে যাবে।কিন্তু অযতা বিলম্ব করা ভাল নয়।আর যদি বিলম্ব করার কারনে শেষ পর্যন্ত হজ্ব আদায়ের পুর্বেই মৃত্যুবরন করে,তার পরিণতি হবে অত্যান্ত করুণ।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, “যে ব্যক্তির মক্কা শরীফে যাতায়াতের মত সম্বল রয়েছে কিন্তু গড়িমসি করে আদায় করে নি,সে ইয়াহুদী বা খৃষ্টান হয়ে মৃত্যুবরণ করুক তাতে কিছু আসেযায় না।”(তিরমিজী)
সামর্থ্যবানদেরহজ্ব আদায় না করায় যদি এত কঠুর ভাবে ধমক দিয়ে থাকেন তাহলে অস্বীকার কারীতো নি সন্দেহে কাফির হয়ে যাবে।
আজ বাংলার হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান প্রতি বছর আল্লার প্রেমে সাড়া দিতে মক্কায় আল্লাহর দরবারে হাজিরা দিতে যান।সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ হজ্ব ব্রত হাজীদের আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে মুখরীত হয়ে ওঠে সমস্থ আরব বিশ্ব।যেন আল্লাহর প্রেমের সগরে ডুবে আল্লাহর বান্দাগণ আনন্দে বিভোর হয়ে আছে।এক টুকরো সাদা কাপড় গায়ে দুনিয়ার ধন সম্পদ ভোগবিলাস ত্যাগ করে যেন আল্লাহর প্রেমের সুধাপানে সদা মগ্ন।
এতদ্বাসত্বেও দু:খ জনক:
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী পবিত্র হজ্ব ও তাবলীগ জামতকে নিয়ে যে অশুভনীয় ও কুরুচিপূর্ণ কথা বলে নাস্তিকতার পরিচয় দিয়েছে।শধু বাংলার নয় বরং সারা বিশ্বের মুসলমান্দের কলিজা বিদির্ণ করে দিয়েছে।সমস্থ মুসলিম মর্মাহত। তাওবাহ করতে হবে।নয়তো ফাসি।
আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে হজ্জ্বে মাবরুর নসীব করুন, আমিন।
লিখেছেন>নজরুল ইসলাম ইয়াজ, কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট।