হবিগঞ্জের চা বাগানগুলোতে উৎপাদিত চা অবিক্রিত থাকায় হতাশ বাগান কতৃপক্ষ !

0
19

এমএইছ চৌধুরী, জুনাইদ। শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জ জেলাধীন ২৪ টি চা বাগানে এবার চায়ের ফলন আশাতীত ভালো হয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষিতে দেশের আবহাওয়া চাগাছ ফলনের অনুকূলে থাকায় দেশব্যাপী চা বাগানগুলোতে ফলন ভাল হয়েছে। তথ্যে জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলাধীন ২৪ টি চা-বাগানে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ কোটি ৪০ লক্ষ কেজি। লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ফলন ভালো হবার পরেও উৎপাদিত চা বিক্রি করতে না পারায় হতাশ হয়ে পড়েছেন বাগান কর্তৃপক্ষ।

কর্তৃপক্ষ বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ফলন হয়েছে। এবার ফলন বেশি হওয়ার কারণে বিক্রয়মূল্য বেশি পাওয়ার আশা করছিলেন কর্তৃপক্ষ। করোনাকালে চা বিক্রি করতে না পেরে হতাশায় ভোগছেন বাগান কর্তৃপক্ষ। সবদিক বিবেচনায় দেখা যায় এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে বাগানগুলো। লকডাউনের কারণে বাগানগুলোতে কীটনাশক, সারসহ বিভিন্ন ওষুধ প্রেয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে চা বাগানগুলো।

অপরদিকে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে লকডা্উন চলছে সারাদেশে। এতে নিয়মানুযায়ী নিলামে তুলা যাচ্ছে না উৎপাদিত বিক্রয়যোগ্য চা। যার কারনে আর্থিক সংকটে পড়েছেন বাগান মালিকরা। উৎপাদিত চা বিক্রি করতে না পারলে এ শিল্পকে বাচাঁনো কঠিন হবে বলে মনে করেন মালিক কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে সুরমা চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক মলয় রায় জানান, এ বছর চা উৎপাদন আশানুরূপ হলেও বিক্রি করতে না পারায় আর্থিক সংকটে পড়তে হচ্ছে তাদের। করোনার কারণে দেশে ক্রেতা না আসায় চা নিলামে তোলা যাচ্ছে না, যার কারণে আর্থিক সংকট বাড়ছে। তিনি আরও বলেন, চা বিক্রি করতে না পারার কারণে চা শ্রমিকদের বেতন দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে চা শ্রমিকদের অসুবিধার কথা ভেবে শত প্রতিকূলতার মাঝেও চা শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা হচ্ছে। এতে মালিকপক্ষ সাময়িক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে তাদের দাবি। তবে বাগান কর্তৃপক্ষরা মনে করেন, করোনা সঙ্কট কেটে গেলে উৎপাদিত চা দ্রুত বিক্রি করতে পারলে আসন্ন ক্ষয়ক্ষতি সমন্বয় করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন। এ চা শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিবে এটাই চা বাগান কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা।

আপনার মতামত প্রকাশ করেন

আপনার মন্তব্য দিন
আপনার নাম এন্ট্রি করুন