হবিগঞ্জের বাহুবলে দুপক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত শতাধিক

0
24

জি-নিউজ ডেস্ক ::  হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলায় সরকারি বিলের আধিপত্য নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ  শতাধিক লোক আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে অন্তত ১৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অন্যদের বাহুবল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সংঘর্ষে পুলিশ ৪৮ রাউন্ড সর্টগানের গুলি ও ১৩ রাউন্ড গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আজ মঙ্গলবার ০৬ নভেম্বর ১৮ তারিখ বিকেলে উপজেলার গোহারুয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বাহুবলের গোহারুয়া গ্রামে একটি সরকারি বিলের আধিপত্য নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সংঘর্ষের খবর পেয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উভয় পক্ষকে শান্ত করেন। এর একঘন্টা পর আবারো উভয় পক্ষ মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ঘন্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে পুলিশসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছে।

আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ওই গ্রামের মৃত মনফর উল্লাহর পুত্র সাজিদ মিয়া (৩৫), মৃত রশিদ উল্লাহর পুত্র নসর উদ্দীন (৫০), ফজলুল হকের পুত্র লিটন মিয়া (২২), মৃত আনফর উল্লার পুত্র মর্তুজ আলী (৪৪), হাসান উদ্দিনের পুত্র জাকারিয়া (২২), আব্দুস সাত্তারের পুত্র সাজিদ মিয়া (৩৫), হাফিজ উদ্দিনের পুত্র রাজু মিয়া (১৭), ফজল মিয়ার পুত্র আল আমিন (২০), মৃত দরছ মিয়ার পুত্র ফারুক মিয়া (৬০), ফাকু মিয়ার পুত্র অলি মিয়া (২৫), নূর মিয়ার পুত্র মোতাহির (২৫), রশিদুল্লাহর পুত্র মনির মিয়া (৭০), হাছন আলীর পুত্র নোমান মিয়া (২৮), শামসু উদ্দিনের পুত্র আব্দুল কাইয়ুম (৪০) কে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে।

এছাড়াও আইয়ুব আলীর পুত্র সিদ্দিক মিয়া (৩৫), নছর উদ্দিনের পুত্র বজলু (৩০), মৃত করিম উল্লাহর পুত্র আহাদ আলী (৪৫), রশিদল্লাহর পুত্র গেদু মিয়া (৭০), তৈয়ব উল্লার পুত্র ইউনুছ মিয়া (৫৫), আনফর উল্লাহর পুত্র আফতাব আলী (৪০), দরবেশ আলীর পুত্র সিরাজ মিয়া (২২), আশ্রব উল্লাহর পুত্র আব্দুল্লাহ (২৭), আব্দুর রশিদের পুত্র মানিক মিয়া (৩৫), সাজিদ মিয়ার পুত্র রায়হান (১৩), আব্দুল মুনিমের পুত্র রুবাইব (১৭), ফাকু মিয়ার পুত্র দেলোয়ার হোসেন (১৬), সহ আরো অনেককে বাহুবল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বাহুবল মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আলমগীর কবির, এসআই সজিব (৩০), এসআই রহিম (৪০), কনস্টেবল রাজু (২৬) ও রাজিবসহ (২৫)কে বাহুবল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বাহুবল মডেল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মাসুক আলী জানান, ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৫জন দাঙ্গাবাজকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

 

 

 

আপনার মতামত প্রকাশ করেন

আপনার মন্তব্য দিন
আপনার নাম এন্ট্রি করুন