হবিগঞ্জের বিজিবি সদস্য সুমন হত্যা মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার

0
46

 

এমএইছ চৌধুরী, জুনাইদ শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) সংবাদদাতা ::

হবিগঞ্জের বিজিবি সদস্য সুমন হত্যার পলাতক আসামী জহুর হোসেন (৪০)দহগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে দহগ্রাম তদন্ত ফাড়ি পুলিশ।   শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) রাত ৯টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দহগ্রাম বাজার থেকে  তাকে গ্রেফতার করা হয়। লালমনিরহাটে খুন হওয়া হবিগঞ্জের বিজিবি ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া হত্যা মামলার চার্জশীটভূক্ত আসামী এই জহুর হোসেন । জানা যায়, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল আটগরিয়া গ্রামের আব্দুল হেকিমের পুত্র নিহত সুমন মিয়া বিজিবির ৬১  ব্যাটালিয়নের সদস্য ছিলেন। ২০১৭ সালের ২৬ জুন গভীর রাতে গরু চোরাকারবারী ধরতে দহগ্রাম ক্যাম্পের হাবিলদার আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়াসহ  বিজিবির একটি টহল দল দহগ্রামের আবুলেরচর এলাকায় তিস্তা নদীতে যায়। অপর সদস্য ল্যান্স নায়েক টুটুল মিয়া গরু ধরার জন্য নদীতে নামেন। বিপদজনক আবস্থায় টুটুল মিয়াকে উদ্ধার করতে গিয়ে সুমন মিয়া (নম্বর৭৬২৪১) নদীর স্রোতে ভেসে যান।সুমন মিয়া নিখোঁজের দুই দিন পর ভারতীয় সীমান্ত থেকে ভারতীয় ১৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের একটি দল সুমনের মরদেহ উদ্ধার করে বিজিবির নিকট হস্তান্তর করেন।

এই ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়। বিজিবির পক্ষে করা মামলায় প্রথমে কাউকে আসামী না করা হলেও পরে আসামীদের নাম উল্লেখ করে আরো একটি মামলা করা হয়। চলতি বছর এ চাঞ্চল্যকর মামলায় ১০ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও পাটগ্রাম থানার ওসি (তদন্ত) ফিরোজ কবীর। এ মামলায় কয়েকজন জামিনে থাকলেও  দীর্ঘদিন থেকে পলাতক ছিলেন আসামী জহুর হোসেনে। আটককৃত জহুর হোসেন দহগ্রাম ইউনিয়নের বঙ্গেরবাড়ী এলাকার নাসির উদ্দিনের পুত্র।  দহগ্রাম পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ওসি) আবু হানিফ বলেন, ধৃত আসামী জহুর হোসেনকে কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে পাটগ্রাম থানায় পাঠানো হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই