হবিগঞ্জের শায়েস্তানগরে সম্পত্তির লোভে মাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে পুত্র ও পুত্রবধূ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:: হবিগঞ্জ শহরতলীর শায়েস্তানগরে সম্পত্তি নিজ নামে লিখে নিয়ে মাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে পাষন্ড পুত্র ও পুত্রবধূ। এ ঘটনার পর কোথাও কোনো বিচার না পেয়ে অবশেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমল-১ আদালতে পুত্রের বিরুদ্ধে গত ১১ জানুয়ারি মামলা করলে বিচারক মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
জানা যায়, হবিগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের শায়েস্তানগরের বাসিন্দা মৃত জিতু মিয়ার স্ত্রী শতবর্ষী আঙ্গুরা খাতুনকে প্রায় অর্ধকোটি টাকার বসতভিটা লিখে দিয়ে যান তার স্বামী। কিন্তু তাদের একমাত্র ছেলে ফরিদ মিয়া ও তার স্ত্রী ঝর্না আক্তার কিছুদিন লালন পালন করে কৌশলে তার বসতভিটা তাদের নামে লিখে নেয়। এক পর্যায়ে বোঝা ভেবে গত ৩ জানুয়ারি আঙ্গুরাকে ফরিদ ও তার স্ত্রী ঘর থেকে বের করে দেয়। প্রচন্ড ঠান্ডার মাঝে বিভিন্ন লোকের কাছে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করে বৃদ্ধা। এক পর্যায়ে সে অসুস্থ হলে পথচারীরা তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতাল থেকে ওষুধ সেবা না দেয়ায় সমাজসেবা অফিস থেকে ওষুধ দেয়া হয়।
এ ঘটনায় আঙ্গুরা খাতুন সদর থানায় পুত্র ফরিদ মিয়া ও তার স্ত্রী ঝর্ণার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। পরে প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ওই বৃদ্ধার পাশে দাড়ায়। পাশাপাশি সদর হাসপাতাল প্রশাসনও মহিলার খবর নেয়। তিনি মহিলা সদর হাসপাতালে মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ওই বৃদ্ধা বলেন, তার একমাত্র ছেলে ও পুত্রবধূ সবকিছু লিখে নিয়ে বোঝা ভেবে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এখন হাসপাতাল ছাড়া আর কোনো ঠিকানা নেই। এ বিষয়ে সদর থানার ওসি জানান, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। প্রবীণ হিতৈষী সংঘের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সামসুদ্দিন জানান, আমরা বিষয়টি শুনে ওই মহিলার পাশে দাড়িয়েছি। যতটুকু করার করছিও। কিন্তু তার পুত্র কেনো বের করে দিয়েছে তা আইন দেখবে। আমরা কেবল সহযোগিতা করব। এ বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক আমিনুল ইসলাম সরকার জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। তবুও আমরা যতটুকু পারছি, ওই মহিলার খবর নিচ্ছি। এ সংবাদের মাধ্যমে সকলেই মানবেতর দৃষ্টি দেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।