হবিগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রাইভেট চিকিৎসা সেবা বন্ধ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:: হবিগঞ্জে ডাঃ এসকে ঘোষকে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে জেলার সকল বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতালসহ প্রাইভেট প্র্যাকটিস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে চিকিৎসক সমাজ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন জেলা শহর ও দূর দুরান্ত থেকে আসা রোগিরা। তবে সরকারী হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসা সেবা চলমান রয়েছে।
জানা যায়, শনিবার বিকেল ৩ টা থেকে এ কর্মসূচি পালন করছেন হবিগঞ্জের সকল চিকিৎসক।বেসরকারী ক্লিনিক গুলোতে প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ রোগীরা। জেলা শহর ও দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগীরা বেসরকারি পর্যায়ের বিভিন্ন হাসপাতালে সেবা নিতে গিয়ে চিকিৎসক না থাকায় ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগি ও তাদের স্বজনদের। আবার অনেক রোগী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা না পেয়ে সরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছেন। সেখানে গিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শত শত রোগী। হাসপাতালে রোগীর চাপ থাকায় অনেকেই ডাক্তার দেখাতে পারছেন না।
এ বিষয়ে চিকিৎসকরা জানান, কর্মরত চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলার সকল বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতালসহ প্রাইভেট প্র্যাকটিস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। তবে সরকারী হাসপাতাল গুলোতে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত প্রাইভেট প্র্যাকটিস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে’।
হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের আরএমও ডাঃ মোমিন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘সরকারী হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শুধু প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কর্মসূচি পালন করা হরে’।
উল্লেখ্য, গত ১৪ নভেম্বর উচ্চ আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেন ডাঃ এসকে ঘোষ, শহরের দি জাপন বাংলাদেশ হাসপাতাল এন্ড ডায়গনিক সেন্টারের মালিক এ কে আরিফুল ইসলাম, ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার জনি আহমেদ ও একই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাবেক মেম্বার কাঞ্চন মিয়ার ছেলে হাবির হোসাইন। এ সময় উচ্চ আদালতের বিচারক মোঃ আবু তাহের, মোঃ সাইফুর রহমান ও মোঃ বাশির উল্লাহ ৩ জনের যৌথ বেঞ্চ তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।