এম হায়দার চৌধুরী, শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ):: হাফিজুর রহমান (২৮) নামে এক যুবক হবিগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গনেই আত্মহত্যা করেছে। আদালতে মামলা করেও স্ত্রী-সন্তানকে না পেয়ে ক্ষোভে-অভিমানে নিজ বুকে ছুরিকাঘাত করে সে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। নিহত হাফিজুর রহমান হবিগঞ্জ শহরতলীর কামড়াপুর এলাকার নুর মিয়ার ছেলে, তিনি শহরের সুলতান মাহমুদপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। সোমবার (১৫ ডিসিম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জ আদালত এলাকার নিমতলায় এ ঘটনাটি ঘটে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) দৌস মোহাম্মদ নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। প্রায় দুই বছর আগে নিহত হাফিজুর রহমানের সাথে বানিয়াচং উপজেলার খাগাউড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের কন্যা বুশরা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে ১টি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হাফিজুল ও তার স্ত্রী বুশরার মধ্যে ঝগড়াঝাটির জের ধরে কিছুদিন পুর্বে বুশরা তার সন্তানকে নিয়ে পিত্রালয়ে চলে যায়। পরে হাফিজুর তার স্ত্রী ও সন্তানকে ফিরিয়ে আনতে বার বার শশুর বাড়ি গেলেও বিষয়টির কোন সুরাহা হয়নি।
এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে গত ১৫ অক্টোবর হাফিজুল ইসলাম ১০০ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। এ মামলার প্রেক্ষিতে গতকাল হবিগঞ্জ ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ স্ত্রী বুশরার জবানবন্দি গ্রহণ করে। এ সময় বুশরা স্বামীর কাছে থাকতে চায় না জানালে আদালত বুশরাকে তার মা খুদেজা বেগমের জিম্মায় দেন। এতে ক্ষোভে ও অভিমানে হাফিজুর আদালত প্রাঙ্গণের নিমতলায় এসে একটি ছুরি দিয়ে নিজ বুকে ৩বার আঘাত করেন। তাৎক্ষণিক উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মিঠুন রায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি মো, মাসুক আলী বলেন, এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। এ বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্তের পর এর পেছনে অন্য কোন কারণ আছে কি না জানা যাবে।
