হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে অতিথি পাখি শিকারের বিরুদ্ধে অভিযান

0
51

এম এইছ চৌধুরী, জুনাইদ শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) সংবাদদাতা : সারাদেশে শীতের আগমন সংকেত বাজতে শুরু করেছে। গভীর রাত হতে ভোর অবধি হালকা কুয়াশার চাদরের উপস্থিতি জানিয়ে দিচ্ছে শীতের দেখা মিলবে খুব সহসা। এরই মধ্যে শীত প্রধান দেশগুলোতে সর্বত্র তরল পানি জমে কঠিন রূপ ধারণ করছে।শীত প্রধান দেশে পানির উৎসগুলো জমে বরফ হয়ে যাওয়ার ফলে সেখানকার পশু পাখিদের খাদ্য জমাট বাঁধা বরফের নীচে ঢাকা পড়ে যায়। ওই সব দেশের পাখিরা খাদ্য অন্বেষণে পারি জমায় অপেক্ষাকৃত উষ্ণাঞ্চলীয় দেশে।শীত প্রধান দেশ থেকে উড়ে আসা ওই সমস্ত পাখিরাই আমাদের দেশে অতিথি পাখি হিসেবে আখ্যায়িত হয়। সারা দেশের ন্যায় হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন জলাশয় ও হাওরগুলোতে অতিথি পাখির আগমন শুরু হয়েছে। পাখি শিকারীদের নির্দয় কর্মকান্ডে অতিথি পাখিরা নির্ভয়ে বিচরণ করতে পারছেনা। প্রতিদিনই শিকারীরা বক, পেরী হাঁস, বালি হাঁস ও শালিকসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশী বিদেশী অতিথি পাখি শিকার করে হাট বাজারে বিক্রি করছে। বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীর নজরে আসলে স্থানীয় পত্রিকার কয়েকজন সাংবাদিক জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদকে অবগত করেন। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল সকালে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিগ্যান চাকমার নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদর উপজেলার বারাপৈত এড়ালিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে দুইটি রাজ বকসহ অতিথি পাখি শিকারের বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। সেই সাথে পাখি শিকারের জন্য তৈরীকৃত বেশ কয়েকটি  ফাঁদ বিনষ্ট করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই গ্রামের পাখি শিকারী  লাকসু মিয়া (৩৫), জোনাব আলী (৪৫) ও মামুনুর রহমান (১৫) পালিয়ে যায়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত লাসকুর মা খোশবানু ও মামুনুর রহমানের মা রাজবানুকে আটক করে। এক পর্যায়ে অতিথি পাখি শিকার করবেনা বলে মুছলেকা নিয়ে তাদেরকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগীতা করেন সদর থানার পুলিশ ও কোর্ট পেশকার বাবুল আহমেদ। এ ব্যাপারে আলাপকালে ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট জানান, অতিথি পাখি শিকার করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। পাখি শিকারীদের আটক করতে পারলে সংশ্লিষ্ট আইনে সাজা দেয়া হবে। এবং এ অভিযান প্রতিদিন অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

আপনার মতামত প্রকাশ করেন

আপনার মন্তব্য দিন
আপনার নাম এন্ট্রি করুন