পদ্মা সেতুর ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৫, ১৯, ২৬, ২৭, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২ ও ৩৫ নম্বর পিয়ারসংলগ্ন মাটির গঠনে ভিন্নতা পাওয়ার পর সেগুলোর পাইলিং স্থগিত রেখে নতুন করে নকশা প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। এর মধ্যেই ২৪, ২৫, ২৮, ৩৩, ৩৪ ও ৩৬ পিলারেও দেখা দেয় একই সমস্যা। এর পরিপ্রেক্ষিতে এসব পিলারের পাইলিং স্থগিত রাখা হয়। সেতুর ব্রিটিশ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কাউইর প্রকৌশলীরা এসব পিয়ারের নতুন নকশা করেছেন।
প্রকল্প সূত্র জানায়, বর্তমানে মাওয়া প্রান্তের ৬, ৭, ৮ ও ৯ নম্বরসহ বেশ কয়েকটি পিলারে পরিবর্তিত নকশায় পাইলিংয়ের কাজ চলছে। এর মধ্যে ৬, ৭ ও ৮ নম্বর পিলারের পাইলিং কিছুটা দৃশ্যমানও হয়েছে। ৯ নম্বর পিলারের বসানো হয়েছে বিশালাকার হ্যামার। আরেকটি বিশালাকার হ্যামার রয়েছে ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের কাছে। একইভাবে মাঝ পদ্মার কয়েকটি পিলারেও চলছে পাইলিংয়ের কাজ।
পদ্মা সেতুতে পিলার হবে মোট ৪২টি। এর মধ্যে নদীর ভেতরে থাকা ৪০টি পিলারের প্রতিটিতে ছয়টি করে পাইল করার কথা ছিল। নকশা বদলে ফেলা পিলারে ছয়টির বদলে সাতটি করে পাইল করা হচ্ছে। ফলে পাইলের সংখ্যা ২৪০ থেকে বেড়ে ২৬২টিতে উন্নীত হচ্ছে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের একজন প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশির ভাগ পিলারের গভীরতা ১২০-১৩০ মিটার। তবে নকশায় পরিবর্তন আনা পিলারের পাইলের গভীরতা ৯৮ থেকে ১১৪ মিটারের মধ্যে রাখা হয়েছে। মাওয়া প্রান্তের পিলারগুলোর গভীরতা তুলনামূলক কম। জাজিরা অংশে পরিবর্তিত নকশার পিলারগুলোর গভীরতা সে তুলনায় বেশি হচ্ছে।