২৮ অক্টোবর রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ঢাকায় নিহত ১ পুলিশ ও ১ যুবদল নেতা,হামলার শিকার ৩০ সাংবাদিক।
————————————-
ঢাকা অফিসঃ
ঢাকার রাজপথ আজ রক্তে লাল,নিহত হয়েছে পুলিশ,নিহত হয়েছে যুবদল নেতা,
রাজধানীতে বিএনপি মহাসমাবেশকে ঘিরে পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে ৩০ জন গণমাধ্যমকর্মী আহত হয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রেই সরাসরি আক্রান্ত হয়েছেন সাংবাদিকরা।
গুরুতর আহত হয়েছেন ঢাকা টাইমসের প্রতিবেদক সালেকিন তারিন। তাকে চিকিৎসার জন্য জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) নেয়া হয়েছে।
গুরুতরও আহত অবস্থায় দৈনিক কালবেলার প্রতিবেদক রাফসান জনি, ব্রেকিং নিউজের ক্রাইম রিপোর্টার কাজী ইহসান বিন দিদার, ব্রেকিং নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক আহসান হাবিব সবুজ, ইনকিলাব পত্রিকার ফটোসাংবাদিক এফ এ মাসুম, নিউ এইজের আহমেদ ফয়েজ, বাংলা ট্রিবিউনের সালমান তারেক শাকিল, ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক মারুফসহ আরও বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা আহত হয়েছেন।
রাফসানের সঙ্গে থাকা কালবেলার জ্যৈষ্ঠ প্রতিবেদক রাজন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, কাকরাইল মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্য় চলাকালে ভিডিও ফুটেজ নিচ্ছিলেন সাংবাদিক রাফসান জানি। পুলিশের ওপর হামলার এই ফুটেজ সংগ্রহকালে দুষ্কৃতকারীরা রাফসানের ওপর হামলা চালায়।
তিনি আরও বলেন, এ সময় রাফসানের গলায় কালবেলার আইডিকার্ড ঝুলানো থাকলেও তাকে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয়। হামলায় তার সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। এছাড়া তার মোবাইল ফোনটিও ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। তার অবস্থা গুরুতর।
রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। দুপক্ষের সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী আহত হন।
তাদের মধ্যে রাফসান জানিকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। অন্যান্য আহত সাংবাদিকরা আশেপাশের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
সংঘাত সংঘর্ষে অসাবধানতায় সাংবাদিকরা আহত হন বরাবরই, তাই বলে টার্গেট করে সাংবাদিকদের উপর আক্রমণের নির্মমতা খুবই দুঃখজনক।