নিরাপদ ও দ্রুততম গণপরিবহন হিসেবে মেট্রোরেল

0
14

জি নিউজ ডেস্কঃ নিরাপদ ও দ্রুততম গণপরিবহন হিসেবে মেট্রোরেলের খ্যাতি দুনিয়াজোড়া। কাছাকাছি দূরত্বে যাত্রীদের মেট্রোরেল স্টেশনের সুবিধা নিতে কোন সমস্যা নেই; কিন্তু যারা কিছুটা দূরত্বে থাকবেন, তাদের কাছে সহজলভ্য করতে এখন পর্যন্ত কোন আয়োজন চূড়ান্ত হয়নি। পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুরুতেই জনগনের কাছে জনপ্রিয় করতে না পারলে, হোচটখাবে ব্যয় বহুল এই গণপরিবহন প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। রিপোর্টে আরো জানাচ্ছেন, মুহাম্মদ নূরন নবী। ছবি তুলেছেন, মজিবুর রহমান।
দেশের চালু হতে যাওয়া, প্রথম মেট্রোরেল ‘এমআরটি লাইন সিক্স’ এর যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা প্রতিঘন্টায় ষাট হাজার। সাড়ে তিন মিনিট পর পর, স্টেশনের প্লাট ফর্মের উভয় পার্শ্বে থামবে ট্রেন।
নারী, শিশু, বয়োবৃদ্ধ এমনকি চলাচলে অক্ষম ব্যাক্তিদেরও স্বাচ্ছন্দে চলাচলে চলন্ত সিড়ি ও লিফট সুবিধা থাকবে বিশ্বমানের এসব উড়াল স্টেশনে। এর দ্বিতীয় তলায় থাবে, টিকেট কাউন্টার। আর, ৩য় তলায় প্লাটফর্মে থামবে ট্রেন।
নিঝঞ্ঝার্ট র‌্যাপিড পার্স দিয়েও ভ্রমন করা যাবে এই ট্রেনে। শহরবাসীর কর্মস্থল, ব্যবসাকেন্দ্রসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টের অগ্রাধিকার দিয়েই, এমনই অ্যালাইনমেন্ট এর ২০ কিলোমিটারের মধ্যে ১৬টি স্টেশনের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
উত্তরা হতে আগারগাঁও পর্যন্ত ৯টি স্টেশন হলো-উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজিপাড়া, শেওড়া পাড়া ও আগারগাঁও। বাকী ৭টি স্টেশন বসবে- বিজয় স্বারণী, ফার্মগেট, কাওরাণ বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সচিবালয় এবং মতিঝিল এ।
স্টেশন থেকে গন্তব্যের শেষ অংশে যেতে বা আসতে, কাছাকাছি যাত্রীদের সমস্যা নেই। কিন্তু, একটু দূরের যারা তাদের বিষয়ে উপায় কি? এসব প্রশ্ন আসছে পরিবহন বিশেষজ্ঞ মহলে। ছোট ছোট গাড়ির বাড়তি চাপ উল্টো যানজটকে উসকে দেবে না তো?
বিষয়টি নিয়েও, ভাবনা চিন্তা আছে, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের। এলআরটি-লাইট মেট্রো, বিআরটিসি সহ বেসরকারী বাস অপারেটররা চক্রাকার বাস সার্ভিসের নানান প্রস্তাবও দিয়েছে।
এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত নেয়া না হলেও মেট্রোরেলকে জনপ্রিয় করার স্বার্থে চালুর আগেই উদ্যেগ নেয়া হবে বলেও নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

আপনার মতামত প্রকাশ করেন

আপনার মন্তব্য দিন
আপনার নাম এন্ট্রি করুন