জি নিউজ ডেস্কঃ
মহানুভবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন গাজীপুর-৩ আসনের মাননীয় এম পি, ইকবাল হোসেন সবুজ। ৪৫ বছর যাবৎ হামাগরি দিয়ে চলা, ৭৫ বছরে বৃদ্ধ মহিলাকে হুয়িল চেয়ার দিয়ে।
গল্পটা একটা হুয়িল চেয়ারের, ভাবতে পারেন এটা কেমন গল্প? জি এই গল্পটার পিছনে ও একটা স্বপ্নজাল ছিল। বারটা ছিল শুক্রবার মাত্র মাহে রমজানের ৫ কি ৬ দিন, প্রতি বছরের নেয় এবার ও ইফতার বিতরন করতে গেলাম আমার পাড়ার প্রিয় প্রতিবেশীদের মাঝে। বলে রাখি আমার এই প্রিয় গবির বন্ধুদের মাঝে যা বিতরন করি তা কোন দান যদগা নয় সবই আমার পক্ষ থেকে উপহার, সবাই কে ইফতার বিতরন করে সর্বশেষ নিজেই ইফতার নিয়ে গেলাম সেই ৭৫ বছরের বৃদ্ধ মহিলা সকিনার বাড়ীতে কারণ সবার নেয় সকিনা হাটতে পারেনা, সে মাটিতে হামাগরি দিয়ে হাটে। বিশ্বাস করেন ইফতার দিয়ে যখন চলে আসতে ছিলাম ঠিক তখনই সকিনা খালা কি যেন বলতে চাচ্ছিল আমাকে, আমি ও বুঝতে পেরেছি কিছু বলবে তাই মনযোগটা ভাল ভাবে দিলাম। সকিনা খালা হাসি মুখে বলে বাবা! দেখ আমার হাত দুটো ফুলে গেছে আর হামাগরি দিয়ে চলতে পারিনা যদি একটা হুয়িল চেয়ার হত ভাল হত। সকিনা খালার আবেদন আমার হৃদয় কে নাড়া দিল ভাবতে লাগলাম ৭ হাজার টাকার ইফতার উপহার দিলাম গরিব বন্ধুদের , বিশ্বাস করেন পকেটে টাকা নেই তবুও কেন সকিনা খালার স্বপ্নটা বাস্তবায়ন করতে স্বপ্ন দেখতে লাগলাম , মানুষ কে স্বপ্নই বাঁচিয়ে রাখে তাই আমি আমাদের প্রিয় এমপি মহদোয় মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ ভাই এর সাথে যোগাযোগ করি। আমার বলতে সময় লাগে কিন্তু মাননীয় এমপি মহোদয় এর সময় লাগেনি। জানেন যখন শুনলাম ব্যবস্থা হয়ে গেছে হুয়িল চেহারের তখন মন বার বলছিল কবে আসবে শুক্রবার , বাড়ি যাব আর চেয়ারটা দিব সকিনা খালার কাছে। অবশেষে আমাদের গর্ব মুহাম্মদ ইকবাল সবুজ ভাই বলল আমার পক্ষ থেকে দিয়ে দিয়েন সকিনাকে চেয়ার। গাজীপুরের লাক্ষ মানুষের হৃদয় জয় করেছেন আমাদের মাননীয় এমপি মহোদয়। অব শেষে আজ নামাজ শেষে আমাদের গ্রামের তরুন, বয়স্ক ও আমাদের ওয়ার্ড মেম্বার আসাদুজ্জামান বাবু সহ সবাই মিলে বিতরন করি সেই হুয়িল চেয়ার। এ ভাবেই শেষ হল একটি হুয়িল চেয়ার আর সকিনার গল্প। জয় হক মানবতার জয় হক হাজরা ও সকিনার স্বপ্নের।