চুনারুঘাটে আলোচিত মামুন হত্যার ১ আসামী ৩দিনের রিমান্ডে

0
23

এসএম শওকত আলী,চুনারুঘাট, হবিগন্জ।।
হবিগন্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার কেউন্দা গ্রামের আলোচিত মামুন হত্যা মামলায় জড়িত একই গ্রামের দরবেশ আলীর পুত্র মোঃ মখলিছ মিয়া (৩২) কে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত এবং একই দিনে কাপুড়িয়া গ্রামের মৃত ফরমান উল্লার পুত্র মোঃ সোনাই মিয়া (৪৮) কে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। গত ২৮/০৫/১৯ইং মঙ্গলবার ম্যাজিষ্ট্রেট আছমা বেগমের আদালতে হাজির হয়ে ডিবি পুলিশের এসআই ইকবাল বাহার ৭ দিনের রিমান্ড এর আবেদন করলে আদালত মখলিছ মিয়াকে ৩ দিন ও সোনাই মিয়াকে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানা যায়, দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর তাদেরকে আটক করে ডিবি পুলিশের একটি টিম। চুনারুঘাট উপজেলা শাকির মোহাম্মদ বাজার থেকে ডিবি পুলিশের এসআই ইকবাল বাহারের নেতৃত্বে তাদেরকে আটক করা হয়। উল্লেখ্য,উপজেলার কেউন্দা গ্রামের বাচ্চু মিয়া ও রেজিয়ার সাথে একই বাড়ির বশির মাষ্টার ও তার ভাই ছগীর মিয়ার জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর নিয়ে দু’পক্ষের মাঝে একাধিক মারামারি সংঘটিত হয় এবং একাধিক মামলা রয়েছে। গত ২০১৭ সালের ১৪ জুলাই ছগির মিয়া ও সুনাই মিয়া প্রতিপক্ষ সবুজ মিয়ার উপর বন্দুক নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় গ্রামবাসী ও পুলিশ এগিয়ে আসলে সবুজ প্রাণে রক্ষা পায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক, গুলিসহ ছগির মিয়াকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে সবুজ মিয়া বাদী হয়ে ছগির মিয়া ও কেউন্দার সুনাই মিয়াকে আসামী করে চুনারুঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ছগির মিয়া দীর্ঘদিন জেল হাজতে থাকার পর জামিনে আসে।
গত ২০১৭ সালের ২৪ জুলাই সোমবার সকাল অনুমান ৮টার সময় আসামী কেউন্দা গ্রামের সোনাই মিয়ার বসতঘরের ৬০ গজ দূরে একটি পুকুর পাড় থেকে কিশোর মামুন মিয়ার লাশ উদ্ধার করে চুনারুঘাট থানা পুলিশ। জানা যায়, কেউন্দা গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে বন্দুক দিয়ে প্রাণে হত্যা করার চেষ্টা ও কিশোর মামুন মিয়া হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে একাধিক মামলার আসামী সোনাই মিয়াকে আটক করে কেউন্দা গ্রামবাসী পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরবর্তীতে গত ১৮/০৫/১৯ইং তারিখে মখলিছ ও কাপুড়িয়ার সোনাই মিয়াকে ডিবি পুলিশ ইকবাল বাহার তাদেরকে গ্রেপ্তার করেন।

আপনার মতামত প্রকাশ করেন

আপনার মন্তব্য দিন
আপনার নাম এন্ট্রি করুন