দেশী পাখি শিকারের ফলে হুমকিতে জীববৈচিত্র

0
63

দেশী পাখি শিকারের ফলে হুমকিতে জীববৈচিত্র

এমএইছ চৌধুরী, জুনাইদ। শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ):: শায়েস্তাগঞ্জসহ হবিগঞ্জের সর্বত্র অবৈধ পাখি শিকারের ফলে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশের উপকারী পাখি ও দেশের জীববৈচিত্র। কারন ক্রমশ: হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের চির পরিচিত ও উপকারী পাখি শালিক, চড়ুই, বাবুই, দোয়েল, কোয়েল, ময়না, শামা, ঘুঘু, মাছরাঙা, হলদে পাখি, বউকথা কও পাখিসহ নাম নাজানা হাজারো প্রজাতির পাখি। একসময় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শান্ত সুনিবিড় গ্রামগুলি সাঁঝের বেলায় নাম চেনা অচেনা হরেক রকম পাখির কুঁজনে মুখরিত থাকতো।

এসব পাখিদ মধ্যে গ্রাম বাংলার মাঠে ঘাটে সব সময় চোখে পড়তো বিভিন্ন প্রজাতির শালিক, ঘুঘু। এ শালিক, ঘুঘু পাখিগুলি কৃষকদের ক্ষেতের ক্ষতিকারক পোকামাকড় খেয়ে কৃষি পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করতো। এই শালিকের রয়েছে বাহারী নাম যেমন, গো-শালিক, গাঙ শালিক, ভাস-শালিক ধান-শালিক ইত্যাদি। এক সময় পল্লী অঞ্চলের ক্ষেত খামারে অসংখ্য শালিক পাখির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যেত। ওই উপকারী পাখিগুলির কিচির মিচির শব্দে মুখরিত থাকতো পল্লী গায়ের ঝোপঝাড় আর বাঁশ বাগানে প্রকাশ পেতো আবহমান বাংলার নৈস্বর্গিক রূপ।

সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে শায়েস্তাগঞ্জসহ হবিগঞ্জের যত্রতত্র চলছে অবাধে পাখি শিকার। উপজেলার বিভিন্ন জলাশয় এবং হাওর থেকে এসব শিকারীরা পাখি শিকার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের সামনে, শায়েস্তাগঞ্জ আন্তজেলা বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে বিক্রি করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।

জানা গেছে, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার শরীফপুর গ্রামের মশাজান এলাকায় আল আমিন নামে এক পাখি শিকারীকে প্রকাশ্যে বক পাখি বিক্রি করতে দেখা গেছে। তার সাথে আলাপকালে জানা যায়, ওই অঞ্চলের লোকজন হাওরে জাল দিয়ে ফাঁদ পেতে বক, শালিকসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি শিকার করে থাকে। তারা প্রতিদিন গড়ে ২০/৩০ জোড়া পাখি বিক্রি করে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, পাখি শিকার নিষিদ্ধ কিন্তু তা মানছে না শিকারিরা।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ বলেন, পাখি শিকারীদের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন সময়ে অভিযান হয়েছে এবং এ অভিযান অব্যহত থাকবে।

আপনার মতামত প্রকাশ করেন

আপনার মন্তব্য দিন
আপনার নাম এন্ট্রি করুন