হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ দুর্নীতি তদন্তে ৮ জনকে দুদকে তলব !

0
21

এমএইছ চৌধুরী, জুনাইদ। শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) :: হবিগঞ্জের শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজে সাড়ে ১৫ কোটি টাকার চিকিৎসা সামগ্রী কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. আবু সুফিয়ানসহ আটজনকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

শুক্রবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে দুদক প্রধান কার্যালয়ের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।এর আগে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শামসুল আলমকে প্রধান করে তদন্ত টিম গঠন করা হয়। ওই তদন্ত টিমের প্রধান পত্র মাধ্যমে টেন্ডার কমিটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আটজনকে তলব করেছেন।

সূত্র জানায়, রোববার (০৮ ফেব্রুয়ারি) টেন্ডার কমিটির বাজারদর যাচাই বাছাই কমিটির সদস্য ডা. জাহাঙ্গীর, ডা. শাহীন ভূঁইয়া, ডা. প্রাণকৃষ্ণ ও ডা. পংকজ কান্তি গোস্বামী তদন্ত কমিটির নিকট হাজিরা দেবেন। পরদিন সোমবার টেন্ডার কমিটির প্রধান ডা. আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব ও হবিগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ডা. নাসিমা খানম ইভা, সদস্য ডা. হালিমা ও ডা. কদ্দুছকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

সম্প্রতি হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট বইপত্র ও মালামাল ক্রয়ের জন্য ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ১৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরে ওই কেনাকাটায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। হিসাবে দেখা যায় ভ্যাট ও আয়কর খাতে সরকারি কোষাগারে জমা হয় ১ কোটি ৬১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৪৮ টাকা। বাকি ১৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮১ হাজার ১০৯ টাকা মালামাল ক্রয় বাবদ ব্যয় দেখানো হয় কিন্তু বাস্তবে ওই মালামাল ক্রয় মূল্য পাঁচ কোটি টাকার উর্ধ্বে নয়। অবশিষ্ঠ টাকার পুরোটাই ভাগ-বাটোয়ারা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজে সরবরাহ করা মালামালের মধ্যে ৬৭টি লেনেভো ল্যাপটপের (মডেল ১১০ কোর আই ফাইভ) প্রতিটির মূল্য দেখানো হয়েছে এক লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা। অথচ দেশের কম্পিউটার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ফ্লোরায় একই মডেলের ল্যাপটপ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৪২ হাজার টাকায়। এছাড়াও অন্যান্য মালামাল ক্রয়েও অতিরিক্ত ক্রয় মূল্য দেখায় নির্ঝরা এন্টারপ্রাইজ এবং পুনম ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামের দুটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান।

শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজে দুর্নীতির ব্যাপারে অভিযোগের পর প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে গত ৩ ডিসেম্বর প্রাথমিক তদন্তে নামে দুদক হবিগঞ্জ। যা ছিল তাদের প্রথম পদক্ষেপ। পরবর্তীতে বিষয়টি অধিকতর তদন্তের অনুমতি চেয়ে প্রধান কার্যালয়ে আবেদন করা হয়।

আপনার মতামত প্রকাশ করেন

আপনার মন্তব্য দিন
আপনার নাম এন্ট্রি করুন