ভোলার বোরহানউদ্দিনের মানিকার হাটে আফসার নামের এক ব্যাক্তি স্থানীয় চেয়ারম্যান দ্বারা নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২২ শে ফেব্রুয়ারী শনিবার দুপুরে কুতুবা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড এর রফিজুদ্দিন বাড়ির ইউনুস ওরফে সিডুর ছেলে আফসার সাংবাদিকদের নিকট এমন অভিযোগ করেন।
আফসারের পরিবার সুত্রে জানা যায়- জনৈক ব্যাক্তির কাছ থেকে আফসার ৩০ হাজার টাকা দিয়ে একটি টিউবওয়েল কিনে । টিউবওয়েলটি বসানোর কিছুদিন পর সেখানে চেয়ারম্যান ও এক মহিলা অফিসার এসে জানতে চায় টিউবওয়েলে নেমপ্লেট নেই কেনো।তখন আফসার জানায় তারা টাকা দিয়ে টিউবওয়েলটি কিনেছে নেমপ্লেট থাকবে কেনো? তখন আলাপচারিতায় জানা যায় এটি একটি সরকারী টিউবওয়েল। চেয়ারম্যানের লোক সেটাকে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেছে। টাকা নেয়ার বিষয়টি মহিলা অফিসারের কাছে প্রকাশ হওয়ায় সম্মানহানি হয় জোবায়েদ চেয়ারম্যানের। আর তখন থেকেই আফসারের উপর রাগ চেয়ারম্যানের।
এরপর থেকেই নানাভাবে নির্যাতন ও হয়রানি চলতে থাকে আফসার ও তার পরিবারের উপর। এসব বিষয়ে চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চাইতে গেলে বিচার না করে উল্টো ধমক দেয় বলেও অভিযোগ করেছে আফসার।
আফসারের পরিবার আরো জানায়, সর্বশেষ…… তারিখে রাত ৯ টায় আফসার স্থানীয় চায়ের দোকানে বসে ছিলো। তখনই হটাৎ করে চেয়ারম্যান জোবায়েদ মিয়ার নির্দেশে আলাউদ্দিন মিয়া সহ মোট ৭/৮জন সাঙ্গপাঙ্গরা আফসারকে টেনে স্কুলের মাঠের কাছে নিয়ে গিয়ে চোখ মুখ বেধে বেধড়ক মারধর করে।
মারধরের এক পর্যায়ে আফসার ওদের পা ধরে বলে আমার ছোট ছোট দুটি সন্তান, আমাকে প্রান ভিক্ষা দেন। পরে তারা অর্ধমৃত অবস্থায় আফসারকে ফেলে চলে যায়। এরপর স্থানীয়রা ও আত্মীয়রা আফসারকে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে স্পিডবোটযোগো ঢাকায় পাঠানো হয়। এরপর বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আলী আজম মুকুল(এমপি) কে অবহিত করা হলে চিকিৎসা ও যাতায়াতে আর্থিক অনুদান ও নিয়মিত খোজখবর নেন।
