বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে“নরেন্দ্র মোদী অংশ নিতে পারেন, এমন আশংকায় বিভিন্ন মহলের মন্তব্য

0
20

মোদি ইজ এ টেররিস্ট। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে নট মোদী”!

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতার বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রীয় মদতে দিল্লিতে গণহত্যা চালানো হচ্ছে। ভারতীয় মুসলিমদের হত্যা করা হচ্ছে, শত শত মা-বোনদের নির্যাতন করা হচ্ছে, মসজিদ ভাংচুর করা হচ্ছে, কোরআন শরীফ পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, দোকান, বাড়িঘর লুট করে পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।

অসমর্থিত সূত্রের বরাতে ভারতে মৃতের সংখ্যা ২০০ পেরিয়ে গেছে। BBC নিউজ বাংলা তথ্য সুত্র অনুযায়ী বলা হচ্ছে গত কয়েক দশকের মধ্যে এরকম ভয়ংকর সাম্প্রদায়িক সহিংসতা দিল্লিতে আর দেখা যায়নি।

নির্যাতিত ভারতীয় মুসলিমদের ভাই ও বোনদের পক্ষে কথা বলার জন্য সারা বিশ্বের ১৮০ কোটি কুরআন, হাদিস দ্বারা পরিচালিত সকল একেশ্বরবাদী ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের একটি জাতি (উম্মাহ) হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরী।

এই মুহূর্তে মুসলিম উম্মাহর স্বার্থে তুরস্ক, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, ইরান, জর্ডান সহ বিশ্বের শীর্ষ প্রভাবশালী দেশ গুলির একসঙ্গে কাজ করা জরুরি বলে মনে করি।

তার জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মুহাম্মদ, পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই মুখ্য ভুমিকা নিতে হবে বলে মনে করি। ইন্দোনেশিয়া, ইরান, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত সহ বিভাজিত মুসলিম দেশের প্রভাবশালী নেতাদের পাশে পাওয়া গেলেও ভারতের এই মুদি সরকারের বিরুদ্ধে মুসলিম নিধন ও নির্যাতনের প্রতিবাদ বা সংহতি জানাতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারবে কিনা এটা নিশ্চিত নয়।

কারন বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর একমাত্র বঙ্গবন্ধু ছাড়া এখন পর্যন্ত জে: জিয়া, জে: এরশাদ, বেগম জিয়া এমন কি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাও ভারতের সাথে তোষণ নীতি পালন করে আসছে। মুলত ক্ষমতায় টিকে থাকা আর ক্ষমতায় আসার জন্য এই নীতি ছাড়া যেন উপায় নাই বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর। তবে সত্য বলতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সাথে বিষয়টা যায় না তারপরও এটাই হয়ে আসছে।

আর কয়েকদিন পরেই বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে নাকি মুসলিম বিদ্বেষী ও সাম্প্রদায়িক বিপজ্জ্বনক এই নরেন্দ্র মোদীকে নিমন্ত্রন জানানো হয়েছে। দিল্লীতে মুসলিম নিধনের ঘটনায় তা আবারো প্রমাণিত এই জগন্য ব্যক্তিকে নিমন্ত্রন জানানো বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি চরম অবমাননাকর হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি নুর সহ অনেকেই এর প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আমার মনে হয় এই মুহূর্তে ৯০ শতাংশ জনগনই চাচ্ছে না, এমনকি আওয়ামী ঘরানারই বেশীরভাগ চাচ্ছেনা যে নরেন্দ্র মোদীকে এই অনুষ্ঠানে আনা হোক।

ভারত থেকে কাউকে যদি আনতেই হয় তাহলে সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি বা ভারতের এখনকার রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দকে আনা যেতে পারে। নট মোদী। মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুসলমানদের রক্তচোষা মোদী’র বাংলাদেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করাই হবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জন্য সবচেয়ে বাঞ্চনীয়।

কিন্তু তিনি চাইলেও এই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কিনা তা একটা বড় বিষয়। আভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অনেক সাহসী এবং সফল ভূমিকা থাকলেও এ ব্যাপারে কি করবেন এখন আবার প্রমান দেয়ার সময় এসেছে।

আপনার মতামত প্রকাশ করেন

আপনার মন্তব্য দিন
আপনার নাম এন্ট্রি করুন