আজ ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া দিবস

0
57

আজ ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া দিবস

এমএইছ চৌধুরী, জুনাইদ। শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ):: একাত্তরের এই দিনে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরের তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ম্যানেজার বাংলোতে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতিমূলক প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তৎকালীন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ২৭ জন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বৈঠকে স্বাধীনতা যুদ্ধের রণকৌশল গ্রহণ এবং দেশকে ১১টি সেক্টর ও ৩টি ব্রিগেডে বিভাজন করা হয়। প্রতি বৎসর ৪ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও এবার করোনাভাইরাসের কারণে সকল কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছ।

ওই ঐতিহাসিক ৪ এপ্রিলের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক আতাউল গণি ওসমানী, তৎকালীন মেজর সিআর দত্ত, মেজর জিয়াউর রহমান, কর্নেল এমএ রব, রব্বানী, ক্যাপ্টেন নাসিম, আব্দুল মতিন, মেজর খালেদ মোশাররফ, কমান্ডেন্ট মানিক চৌধুরী, ভারতের ব্রিগেডিয়ার শুভ্রমানিয়ম, এমপিএ মৌলানা আসাদ আলী, লে. সৈয়দ ইব্রাহীম, মেজর কেএম শফিউল্লাহ প্রমুখ।

জেনারেল এম জি ওসমানীর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাত্মক প্রস্তুতি শেষে শপথ বাক্য পাঠ করানোর পর নিজের পিস্তল থেকে ফাঁকা গুলি ছুড়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। ৩নং সেক্টর কমান্ডার মেজর কে.এম শফিউল্লাহ্ তাঁর হেড কোয়ার্টার তেলিয়াপাড়া চা বাগানে স্থাপন করেন । সড়ক ও রেলপথের সুবিধা থাকায় এখান থেকে মুক্তি বাহিনী বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করা ছাড়াও তেলিয়াপাড়া চা বাগানে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি বড় প্রশিক্ষণ ক্যাম্প গড়ে ওঠে।

স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর ২, ৩ ও ৪নং সেক্টরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে তেলিয়াপাড়া চা বাগান ম্যানেজার বাংলোর পাশে নির্মিত হয় বুলেট আকৃতির মুক্তিযুদ্ধের প্রথম স্মৃতিসৌধ। ১৯৭৫ সালের জুন মাসে এ স্মৃতিসৌধের উদ্বোধন করেন সেনা প্রধান (অব:) মেজর জেনারেল শফিউল্লাহ বীর উত্তম পিএসসি।

আপনার মতামত প্রকাশ করেন

আপনার মন্তব্য দিন
আপনার নাম এন্ট্রি করুন