জনগণের ট্যাক্সের টাকায় ডাক্তারি পড়বা আর বিপদের সময় চুদুরবুদুর করবা চইলত ন-বিঃ জেঃ নাছির উদ্দীন

0
158736

জনগনের ট্যাক্সের টাকায় ডাক্তারি পড়বা আর চুদুরবুদুর করবা! চইলত ন! বিঃ জেঃ নাছির উদ্দীন আহমেদ।

করোনা দুর্যোগের সময় ইন্টার্নশিপকে ‘না’ বলা মেডিকেল ছাত্রদের জন্য সকল দরজা বন্ধ করে দিলেন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাছির উদ্দীন আহমেদ।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এমবিবিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ (এম-৫২ ব্যাচের) ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দেশের ও দেশের বাইরের কোনো প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ প্রশিক্ষণের সুযোগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট এই দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে ইন্টার্নশিপে যোগ না দেয়ায় তাদের ব্যাপারে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাছির উদ্দীন আহমেদ।

এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। চিঠিতে তিনি ‘অতীব জরুরি’ সিল দিয়ে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সচিবের) দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

চিঠিতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাছির উদ্দীন উল্লেখ করেছেন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হতে ২০১৯ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য পেশাগত ফাইনাল এমবিবিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ইন্টার্ন চিকিৎসকদের (এম-৫২ ব্যাচ) ২০২০ সালের ১৪ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ তারিখের মধ্যে যোগদান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। তবে ২ এপ্রিল পর্যন্ত এই ব্যাচের কেউ যোগদানপত্র দাখিল করেনি বা যোগদান করেননি। এত সংখ্যক ইন্টার্ন চিকিৎসক একসঙ্গে যোগদান না করার ফলে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবায় মারাত্মকভাবে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, মানবসেবাই একজন চিকিৎসকের ধর্ম। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় ডাক্তার হয়ে এমন মহৎ পেশায় নিয়োজিত থেকে বর্তমান দেশের ক্রান্তিলগ্নে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের ভয়ে এই ব্যাচের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালে যোগদান করেননি। তাদের এই আচরণ মানবতাবিরোধী এবং ডাক্তারি পেশার সাথে সাংঘর্ষিক, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

তাই উপরোক্ত বক্তব্যের আলোকে এম-৫২ ব্যাচের যেকোনো শিক্ষার্থীরা দেশে ও দেশের বাইরে যেন কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার সুযোগ না পান, এ বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি।

চিঠিটি স্বাস্থ্যমন্ত্রী, মন্ত্রীর একান্ত সচিব, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন), রেজিস্ট্রার, প্রশাসন বিভাগের পরিচালক, চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, ইন্টার্নশিপ কো-অর্ডিনেটর, ডিজিএফআই, এনএসআই, পুলিশ ও র‍্যাব-১৪ সহ বিভিন্ন দফতরে পাঠানো হয়েছে।

একজনের ফেইসবুক স্ট্যাটাসে উল্লেখ করে বলেন।
স্যালুট স্যার আপনার মতন যদি অন্যান্য কয়েকটি মেডিক্যালের পরিচালক ও ডাক্তাররা আপনার মানসিকতার হত তবে দেশের চিকিৎসার মান পাল্টে যেত। উল্লেখ্য দীর্ঘ ৪ বছর ধরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক হিসাবে আছেন উক্ত সময়ে হাসপাতালটিকে দেশ সেরা ও জনসেবামূলক খাতে পরিণত করেছেন তিনি।

সংগৃহীত

আপনার মতামত প্রকাশ করেন

আপনার মন্তব্য দিন
আপনার নাম এন্ট্রি করুন