সাহেদ করিমের অবৈধ’সম্পদের খোঁজে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন

0
30

মোঃ নাসির,বিশেষ প্রতিনিধিঃ চিকিৎসার নামে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে পলাতক রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের ‘অবৈধ’ সম্পদের খোঁজে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

সোমবার কমিশনের এক সভায় সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে তিন সদস্যেরে একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে বলে দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

অনুসন্ধান দলের অন্য দুই সদস্য হলেন- দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নেয়ামুল হাসান গাজী ও শেখ মো. গোলাম মাওলা।

প্রণব কুমার বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ও রিজেন্ট গ্রম্নপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে মাইক্রোক্রেডিট এবং এমএলএম ব্যবসার নামে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

‘পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বহুমাত্রিক জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে পরস্পর যোগসাজশে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, আয়কর ফাঁকি, ভুয়া নাম ও পরিচয়ে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

প্রণব কুমার জানান, অনুসন্ধান শুরুর আগে কমিশনের সংশ্লিষ্ট অণুবিভাগগুলো বিভিন্ন ব্যক্তি, গণমাধ্যম, ভার্চুয়াল মাধ্যমসহ বিভিন্ন উৎস থেকে মো.সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সংগ্রহ করেছে। কমিশনের দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ সেল এসব তথ্য-উপাত্তসংবলিত অভিযোগ কমিশনে উপস্থাপন করলে কমিশন অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। কমিশনের বিশেষ তদন্ত অণুবিভাগের মাধ্যমে এ অভিযোগটি অনুসন্ধান করা হবে।’করোনাভাইরাসের পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া,সরকারের কাছে বিল দেওয়ার পর আবার রোগীর কাছ থেকেও অর্থ নেওয়াসহ রিজেন্ট হাসপাতালে নানা অনিয়মের খবর সম্প্রতি প্রকাশ হয়েছের্ যাবের অভিযানের মধ্য দিয়ে।

গত সপ্তাহে ওই অভিযানের পর রিজেন্টের দুটি হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছের্ যাব। ওই হাসপাতালের অনুমোদনও বাতিল করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ ঘটনায়র্ যাবের করা মামলায় হাসপাতালের ৯ কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রেপ্তার হলেও মূল মালিক মো. সাহেদ এখনো পলাতক বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাষ্য।

সাহেদ-সাবরিনার ব্যাংক হিসাব জব্দ : এদিকে রিজেন্ট গ্রম্নপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ করিম এবং জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনবিআরের এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীন ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্ট ইউনিটের (বিএফআইইউ) নির্দেশনা মোতাবেক তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে। কর নথিতে থাকা তাদের আয়-ব্যয় খতিয়ে দেখতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে সব তফসিলি ব্যাংককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে আগামী সাতদিনের মধ্যে তাদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।

আপনার মতামত প্রকাশ করেন

আপনার মন্তব্য দিন
আপনার নাম এন্ট্রি করুন