জেনে নিন ১০০থেকে ৩৩ নম্বরে পাশের ইতিকথা

0
53

জানার আছে অনেক কিছু!
৩৩% নম্বরে পাশ!

১৮৫৮ সালে উপমহাদেশে ১ম বারের মত মেট্রিকুলেশন পরীক্ষা চালু করা হয়। কিন্তু পাশ নম্বর কত হবে তা নির্ধারণ নিয়ে বোর্ড কর্তৃপক্ষ দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়, এবং ব্রিটেনে কনসাল্টেশনের জন্য চিঠি লেখা হয়।
তখন ব্রিটেনে স্থানীয় ছাত্রদের জন্য পাশের নম্বর ছিল ৬৫%। সে সময় ইংরেজ সমাজে একটা প্রচলিত ধারণা ছিল, “The people of Subcontinent are half as intellectual and efficient as compared to the British” অর্থাৎ “বুদ্ধি ও দক্ষতায় উপমহাদেশের মানুষ কে ইংরেজদের তুলনায় অর্ধেক বলে মনে করা হতো”।
এরই ধারাবাহিকতায় মেট্রিকুলেশনের পাশ নম্বর ৬৫ এর অর্ধেক ৩২.৫ নির্ধারণ করা হয়। ১৮৫৮ সাল হতে ১৮৬১ সাল পর্যন্ত পাশ নম্বর ৩২.৫ ই ছিল। ১৮৬২ সালে তা গণনার সুবিধার্থে বৃদ্ধি করে ৩৩ করা হয়। সেই থেকে এই ৩৩ নম্বর-ই চলছে। ফেডারেল পাকিস্তানেও ছিল, বাংলাদেশেও তাই চলছে। আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে I.I.T. তে বিষয় ভেদে পাশ নম্বর ৪১ থেকে শুরু করে ৯০ পর্যন্তও হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রে M.I.T. তে বিষয় ভেদে ৩৬ থেকে ৪৫ এমন কি বাংলাদেশেও C.A কিংবা C.M.A. তে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পাশ নম্বর নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
লক্ষণীয় আজব ব্যাপার হলো, প্রায় দুই শতাব্দী পরেও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ৩৩% নম্বরে উত্তীর্ণ হওয়ার ধারাবাহিক ইতিহাস বদলায়নি।

আপনার মতামত প্রকাশ করেন

আপনার মন্তব্য দিন
আপনার নাম এন্ট্রি করুন