এম হায়দার চৌধুরী, শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জ শহরে এভারগ্রীণ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স না থাকা, ল্যাব টেকনোলজিস্টের অনুপস্থিতি ও পর্যাপ্ত মেডিকেল ইকুইপমেন্টের ঘাটতি থাকার কারণে এর স্বত্তাধিকারী ডাঃ শামসুদ্দোহা সোহাগকে ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিশ্রুত সেবা প্রদানে এ ব্যর্থ হওয়ার করেন ভ্রাম্যমান আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শামসুদ্দিন মোঃ রেজা এ সাজা প্রদান করেন। ইতোপূর্বেও এ ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে মোবাইল কোর্ট সতর্ক করেছিল।
সোমবার (১৭ আগস্ট) হবিগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামসুদ্দিন মোঃ রেজা শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এ সময় শহরের শায়েস্তানগর ট্রাফিক পয়েন্ট সড়কের এভারগ্রীণ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্তাধিকারী ডাঃ শামসুদ্দোহা সোহাগকে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। এ সময় পার্শ্ববর্তী একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে মালিকপক্ষ পালিয়ে যায়।
সূত্র জানায়, হবিগঞ্জ শহরের যত্রতত্র গড়ে উঠেছে লাইসেন্স বিহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এ গুলো নানান অনিয়ম আর নিম্ন মানের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদের অনেকেরই লাইসেন্স কিংবা পরিবেশ নিয়ন্ত্রন ছাড়পত্র নেই। সরকার আগামি ২৩ আগস্টের মধ্যে লাইসেন্স করার কথা বললেও অধিকাংশ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সরকারি নিয়ম নীতি মানছে না।
সূত্র আরো জানায়, হবিগঞ্জ জেলায় ৯৭টি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে। এরমধ্যে লাইসেন্সসহ কোন ধরণের কাগজপত্র নেই ২৭টিরই। আর হবিগঞ্জ শহরে রয়েছে ৫১টি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক। যারমধ্যে কোন ধরণের কাগজপত্রই নেই ৮টির। বাকিগুলোর মধ্যেও অনেকেরই লাইসেন্স থাকলেও নেই পরিবেশ নিয়ন্ত্রন ছাড়পত্র। হবিগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে হবিগঞ্জে ২৭টি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের লাইসেন্স নেই।