নানামুখী ষড়যন্ত্র সরকারের বিরুদ্ধে!

0
29

-মোঃ নাসির, নিউ জার্সি (আমেরিকা)প্রতিনিধি :টানা ১২ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকার এবং এই সরকারের বিরুদ্ধে কোন রাজনৈতিক প্রতিরোধ নেই। যে সংকটগুলো সরকারের সামনে এসেছে, সে সংকটগুলো মোকাবেলায়ও সরকার সাফল্যের পরিচয় দিয়েছে। বিশেষ করে, বিশ্বব্যাপী যখন করোনা মহামারী ছড়িয়ে পড়েছিল, তখন সকালে মনে করেছিল যে বাংলাদেশ বোধ হয় করোনায় মৃত্যুর বদ্ধমূল হবে। কিন্তু বাংলাদেশ সবাইকে অবাক করে দিয়ে করোনা মোকাবেলায় সফল দেশগুলির একটি হয়েছে। করোনার সাথে অর্থনৈতিক সংকটে যখন সারা বিশ্ব হিমশিম খাচ্ছে, তখন বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রে সফল হয়েছে। তাই এই সরকার যখন একটি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় আছে, ঠিক সেইরকম একটি মুহূর্তে সরকারের বিরুদ্ধে অন্যরকম ষড়যন্ত্র দৃশ্যমান হচ্ছে ক্রমশ্য। গত দুই দিনে এই সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রগুলো প্রকাশ্যে দৃশ্যমান হচ্ছে।

বিশেষ করে, আল-জাজিরার ‘অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’ প্রতিবেদনটি সুস্পষ্ট ইঙ্গিত করে যে দেশের বাইরে, বিশেষ করে লন্ডনে যে সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্র চলছে সেই ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে এই প্রতিবেদনটি। এই প্রতিবেদন শুধু বিদেশে নয় দেশেও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট জন্য একটি পরিকল্পিত প্রয়াস বলে জানা গেছে। বিভিন্ন সূত্রে বলা হচ্ছে যে, এরকম আরো কিছু প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। গত এক বছর ধরেই সরকারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানারকম অপপ্রচার চলছিল। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব অপপ্রচার মুখরোচক হলেও মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়না। সেজন্য বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য এখন ষড়যন্ত্রকারীরা মূলধারার গণমাধ্যমকে বেঁছে নিয়েছে। এরকম শুধু আল জাজিরা নয়, আরো কিছু গণমাধ্যমে এ রকম খবর প্রকাশের চেষ্টা চলছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে আল জাজিরা প্রতিবেদন যখন প্রকাশিত হয়েছে, তার আগের দিন ৪২ জন বুদ্ধিজীবীর নামে একটি চিঠি রাষ্ট্রপতির কাছে দেয়া হয়েছে। মজার ব্যাপার হল যে, এই আল-জাজিরা প্রতিবেদনটি যেমন ডেভিড বার্গম্যানের তৈরি করা ঠিক তেমনি ৪২ জন বুদ্ধিজীবীর বিবৃতিতেও স্বাক্ষর দাতা হলেন ডেভিড বার্গম্যানের স্ত্রী এবং ড. কামাল হোসেনের মেয়ে সারা হোসেন এবং ড. কামাল হোসেনের স্ত্রী হামিদা হোসেন। এছাড়াও এতে এক-এগারোর কুশীলবসহ বিভিন্ন ষড়যন্ত্রকারীরাও এবং বিভিন্ন সময়ে বিরাজনীতিকরণের পক্ষে ষড়যন্ত্রকারীরাও এতে যুক্ত আছেন। এই সবকিছু মিলিয়েই এটি দৃশ্যমান হয়েছে যে, বাংলাদেশের বিভিন্ন সময়ে যারা বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে চেয়েছেন, বিরাজনীতিকরণ করতে চেয়েছেন, তারা আবার তৎপর হয়েছেন। আল জাজিরার প্রতিবেদন এবং ৪২ জন বুদ্ধিজীবীর বিবৃতি একই সূত্রে গাঁথা কিনা সেটা খুঁজে দেখা দরকার।

আপনার মতামত প্রকাশ করেন

আপনার মন্তব্য দিন
আপনার নাম এন্ট্রি করুন