কাপাসিয়ায় বাঁশ বেধে শিতলক্ষা নদী দখলের অভিযোগ

0
15

কাপাসিয়ায় বাঁশ বেধে শিতলক্ষা নদী দখলের অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার শীতলক্ষ্যা নদীর কুল ঘেঁষে ঘিঘাট বটতলা এলাকায় প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী এলাকায় বাঁশ বেধে নদীর জায়গা অবৈধভাবে দখল করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

একটি সিন্ডিকেট একত্রিত হয়ে শীতলক্ষ্যা নদীর বিশাল একটি অংশ বাঁশ বেধে সরকারের রাজস্ব লুণ্ঠিত করে দখলে নেওয়ার কর্মযজ্ঞ প্রকাশ্যে চালিয়ে যাচ্ছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ,উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ঘিঘাট বটতলা এলাকায় নদীর তীরঘেঁষে সরকারের বড় একটি অংশ রাজস্ব বাঁশ মহল সরিয়ে জমি দখলের জন্য মরিয়া হয়ে গেছে একটি বিশাল সিন্ডিকেট।

গত কয়েক বছর ধরে অবৈধভাবে শীতলক্ষ্যা নদীর বিশাল একটি অংশ দখল করা হলেও প্রভাবশালী এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা।

প্রতিদিন অর্ধশত সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে নদীর তীরে মহড়া দিয়ে চালানো হচ্ছে নদী দখলের এ কর্মযজ্ঞ।

সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, সরকারের বড় একটি অংশ রাজস্ব বাঁশ মহল উচ্ছেদ করে নদী দখল করবে এবং সরকার কে রাজস্ব এখান থেকে দিবেনা যে কেউ আসবে তাকে প্রতিহত করা হবে।

শীতলক্ষ্যা নদীর পাশে ৩০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০০ ফুট চওড়া করে নদীতে বাঁশ বেধে নদী দখলের কাজ চালানো হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা তোয়াক্কা না করে এ জমি দখলের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বটতলা বাজার এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, এ সিন্ডিকেটের সদস্যরা রাতের আঁধারে শীতলক্ষ্যা নদীর বালু কেটে শিল্পনগরী এলাকায় বিভিন্ন কোম্পানির নিকট বালু বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

বুধবার সরেজমিন শীতলক্ষ্যা নদীর বটতলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়,নদীর পাড়ের জায়গা দখল করে বাঁশ মহল সরিয়ে অন্যান্য বাঁশের বেড়া দিয়ে দখল করে নিয়েছেন। যেখানে অর্ধশত সন্ত্রাসী নিয়ে মহড়া দিচ্ছেন ধান দিয়া গ্রামের আবুল হোসেন ও কবির হোসেন।

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ কাজের সঙ্গে তিনি জড়িত নন। তবে তার এলাকায় কিছু ছেলে নিজস্ব কিছু কার্যাদেশ নিয়ে তাদের জোত জায়গা বলে জমি দখলের কাজ শুরু করেছে। এ কাজটি প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ নদী ভরাট করার মিথ্যা কুৎসা রটাচ্ছে।

অভিযুক্ত আবুল হোসেন বলেন, নিউজ করে কোনো লাভ নেই। এটি আমাদের জোত সম্পত্তিতে এ কাজ আমরা করছি। নদী দখলের বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।

কাপাসিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল হুসাইন বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। কোনোভাবেই নদীর জায়গা দখল করতে দেওয়া হবে না। ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম গোলাম মোর্শেদ খাঁন বলেন,এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এসিল্যান্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবৈধভাবে নদী দখল করা হলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত প্রকাশ করেন

আপনার মন্তব্য দিন
আপনার নাম এন্ট্রি করুন