শায়েস্তাগঞ্জে ভ্যাপসা গরমে অস্থির তরমুজের দাম!
এম হায়দার চৌধুরী, হবিগঞ্জ থেকে!! হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সর্বত্র অসহনীয় ভ্যাপসা গরমে অস্থির হয়ে উঠেছে তরমুজের বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে তরমুজের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। গত সপ্তাহে যে তরমুজ ১শ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেই একই প্রকারের তরমুজ এখন ২শ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, তরমুজের সূতিকাগার বরিশাল, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্রেতা সংকটের কারনে তরমুজ পানিতে ফেলে নষ্ট করছেন তরমুজ চাষিরা। এমন বাস্তবতায় হবিগঞ্জ জেলার সবখানে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। তরমুজের অগ্নিমূল্যের কারনে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাহিরে চলে যাচ্ছে তরমুজে দাম।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার দাউদনগর বাজার রেলগেইট, ড্রাইভার বাজার, শায়েস্তাগঞ্জ পুরাণ বাজার ও নতুনব্রীজ এলাকায় প্রচুর পরিমাণে তরমুজ নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। হঠাৎ প্রচন্ড গরম পড়ায় ক্রেতারাও এসেছেন রসালো ও সুস্বাদু এই তরমুজ কিনতে। কিন্তু দাম নাগালের বাহিরে থাকায় অনেকেই না কিনে ফিরে যাচ্ছেন। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে আকাশছুঁয়া দাম দিয়ে তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। শায়েস্তাগঞ্জ রেল স্টেশন এলাকায় বড় সাইজের একটি তরমুজ বিক্রয় হচ্ছে ৪/৫শত টাকায়, মাঝারি আকারের তরমুজের দাম ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ টাকা, ছোট্ট আকারের তরমুজ ২ থেকে আড়াইশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কথায় এখন ২শ টাকার নিচে কোনো তরমুজ বিক্রি হচ্ছেনা।
দেশের কোথাও কোথাও তরমুজের ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না, আবার কোথাও তরমুজের দাম বেশি। এমন অসামঞ্জস্য পরিস্থিতিতে ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে বাকবিতন্ডা লেগেই আছে। তরমুজ ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, সংবাদ ও বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে সঠিক দাম না পেয়ে ব্যবসায়ীরা তরমুজ পানিতে ফেলে দিচ্ছেন। আমরা অতিরিক্ত দামের কারনে তরমুজ কিনতে পারছি না। মনে হয় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে তরমুজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। দাউদনগর বাজারের তরমুজ ব্যবসায়ীরা জানান, তরমুজের দাম যখন কম থাকে তখন আমরা কম দামে কিনি এবং কম দামে বিক্রি করি। এখন বেশী দামে তরমুজ কিনতে হচ্ছে, তাই বেশী দামেই বিক্রি করছি। তরমুজের দাম বাড়ানো কমানোর ব্যবস্থা আমাদের হাতে নাই।