ডেঙ্গু আতঙ্কে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরবাসী!! মশক নিধনে পৌর কর্তৃপক্ষ নীরব

0
4

ডেঙ্গু আতঙ্কে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরবাসী!! মশক নিধনে পৌর কর্তৃপক্ষ নীরব

এম হায়দার চৌধুরী, শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে:: দেশে বর্ষাকাল শুরু হয়েছে, এখন বিক্ষিপ্ত স্থানে বৃষ্টির পানি জমে থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। এসময়ে জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গুবাহি মশাসহ পানিবাহিত রোগ বালাই দেখা দেয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানা যায় ইতোমধ্যেই রাজধানীতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কয়েকজন মৃত্যু বরণ করেছেন। এদিকে, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকাসহ আশপাশে জনবসতিতে আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে মশার উপদ্রব। অস্বাভাবিক আকারে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে মশার আক্রমণ। পৌরবাসীর এত দুর্ভোগের পরও মশক নিধনে নজর নেই শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃপক্ষের। এ নিয়ে পৌরবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে চরম অসন্তোষ ও ডেঙ্গু আতঙ্ক। এখন বর্ষাকাল যত্রতত্র জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে দ্রুত গতিতে বাড়বে মশার বংশ বিস্তার। এটি ডেঙ্গু জ্বরের মৌসুম বিধায় জনসাধারণের উদ্বেগ উৎকণ্ঠা একটু বেশি। বলতে গেলে সারাদিনই মশার আক্রমণে অতিষ্ঠ পৌরবাসী। মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর জেনেও জনসাধারণ মশার কয়েল ব্যবহার করছেন দেদারসে। এতেও মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলছে না সাধারণ মানুষের। কয়েকজন সচেতন পৌরবাসী জানান, পৌরসভার উদ্যোগে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দীর্ঘদিন যাবৎ মশক নিধনে কোন কার্যক্রম না থাকায় আশংকাজনক হারে বেড়েছে মশা। মশার আক্রমণে পৌরবাসী অতিষ্ঠ হলেও মশার বংশ বিস্তার রোধ ও মশা নিধনে কোন কার্যক্রম দেখা যায় না পৌরসভা কর্তৃপক্ষের।
এদিকে পৌরসভাধীন কাঁচা বাজার, রেল লাইনের পাশের ডোবা, কাঁচা পাকা ড্রেন-নর্দমাগুলোর পানি নিষ্কাশনের সুষ্ঠু কোনো ব্যবস্থা নাই। এতে করে বৃষ্টির নোংরা পানি জমে থাকে যত্রতত্র। এর ফলে মশা উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে ড্রেনগুলো। এ কারণে মশাবাহিত রোগ বালাইয়ের সাথে ডেঙ্গু জ্বর ছড়িয়ে পড়ারও আশংকা দেখা দিয়েছে সর্বত্র। স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ও বিষাক্ত মশার কয়েল জ্বালিয়েও রেহাই পাওয়া যাচ্ছেনা মশার আক্রমণ থেকে।
এবিষয়ে পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, বর্ষা মৌসুম আসতে না আসতেই শুরু হয়েছে মশার উপদ্রব। মশারা যেন অপেক্ষায় ছিল কখন বর্ষা আসবে! তিনি বলেন মশার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে নিজ উদ্যোগে বাড়ির আঙ্গিনায় গজানো আগাছা ও জঙ্গল পরিষ্কার করেছি, তবুও দমানো যাচ্ছেনা মশার বংশ বিস্তার।
আলাপকালে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. জালালুদ্দিন মোহন বলেন, সীমিত আকারে মশা নিধনে ওষুধ প্রয়োগ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ওয়ার্ডে মশক নিধন কর্মসূচি শুরু হবে। তিনি বলেন ডেঙ্গু বিষয়ে আমরা অবগত আছি এবং পৌরবাসীকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাড়ির আঙ্গিনায় জমে থাকা পানি পরিষ্কার করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। জমে থাকা পানি নিষ্কাশনে আমাদের অবগত করলে ব্যবস্থা নেব।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অদিতি রায় এ বিষয়ে বলেন, অনেক দাপ্তরিক কার্যক্রমে আমরা এখনো হবিগঞ্জ সদরের সাথে সংযুক্ত রয়েছি। তবে এবিষয়ে সদর থেকে কোন নির্দেশ আসলে আমরা তা বাস্তবায়ন করবো।

আপনার মতামত প্রকাশ করেন

আপনার মন্তব্য দিন
আপনার নাম এন্ট্রি করুন