শায়েস্তাগঞ্জের বাজারে কমেনি আদার দাদাগিরি, কাঁচামরিচের বাড়াবাড়ি!
এম হায়দার চৌধুরী, শায়েস্তাগঞ্জ থেকে:: হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় বর্ষা মৌসুমের প্রারম্ভেই অতিবৃষ্টির করনে সবজি বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতেই বাজারে সবজি সরবরাহ কমে যাওয়ায় সবজির দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান ভোজ্যপণ্যের দামের আগুনে ঘি ঢালছে আদা ও কাঁচামরিচ। এদিকে আচমকা অতি বর্ষনের কারণে কাঁচামরিচের উৎপাদন ভূমি তলিয়ে যাওয়ায় কাঁচামরিচের দাম লেজেগোবরে অবস্থা লক্ষনীয়। বলা যায়, ভোজ্যপণ্যের অবাস্তব উচ্চমূল্যের বাজারে কাঁচামরিচের দাম এক ঐতিহাসিক ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। এতেই যদি মধ্যবিত্ত পরিবারের নাভিশ্বাস উঠে, তবে নিম্নবিত্ত ও নিত্য আয়ের মানুষজনে কথা বলাই বাহুল্য।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলাধীন শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার আলীগঞ্জ বাজার, দাউদনগর বাজার ও পুরানবাজার ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত শাক-সবজির চেয়ে এলাকার বাহির থেকে আসা সবজির উপস্থিতি বেশি। খুচরা বাজারে আজও কাঁচামরিচ ৪ শ থেকে ৫শ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশ থেকে স্বল্পমূল্যে আমদানিকৃত কাঁচামরিচের দামের প্রভাব প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো দেখা যাচ্ছে না।
অন্যান্য সবজির দাম সহনশীল পর্যায়ে রয়েছে। তবে আদা এখনও দাদাগিরি দেখিয়ে যাচ্ছে। আদার দাম অস্বাভাবিক মন্থর গতিতে নামছে। ভোক্তা পর্যায়ে আমদানিকৃত আদা এখনও ৩শ থেকে ৪শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আজকের বাজারে খুচরা পর্যায়ে আলু-পটল ও কচুর লতি ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০ টাকা, টমেটো ও গাজর ৮০ টাকা, বেগুন প্রকার ভেদে ৪০/৫০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, কুমড়া আকার ভেদে ৫০/৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পুঁই শাক ৩০ টাকা, কলমি শাক ২৫ টাকা কেজি, পাট শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ আকার ভেদে ৮০/১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
সংবাদকর্মী বুঝতে পেরে এগিয়ে এলেন মাসুম মিয়া নামের একজন ক্রেতা। তিনি বলেন, আপনারা আমাদের দুঃখ কষ্টের কথা নিয়ে লেখালেখি করেন ঠিকই, তবে আমাদের কোনো লাভ হয়না। বাজারে এসে কি কিনবো এবং পকেটে কি আছে এনিয়ে আমাদের ভাবতে হয়। মাছের বাজার, সবজির বাজার, চালের দাম সবই নাগালের বাইরে। মাসুম মিয়া বলেন, দিনমজুর হিসেবে দৈনিক ৪/৫ শ টাকা আয় করে ৪ সদস্যের সংসার চালাতে হিমশিম খাই। যা আয় করি তা দিয়ে সংসার চলে না। ইচ্ছা করলেই আয় বাড়াতে পারিনা। কারখানা শ্রমিক ইসলামুদ্দিন জানান, নির্ধারিত বেতনে কারখানার শ্রমিকের চাকরি করি, প্রায়ই ভোজ্যপণ্যের দাম উঠা নামা করে এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনই চাকরি করছেন বলে এই বিব্রতকর ও গগণচুম্বী দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানিয়ে নিতে পারছেন।