হবিগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় মৃত নারীর কবর থেকে লাশ উত্তোলন!

0
2

হবিগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় মৃত নারীর কবর থেকে লাশ উত্তোলন!

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:: হবিগঞ্জের দি জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালে এক নারীর পেটের দুটি টিউমারের বদলে একটি টিউমার অপারেশন শেষে কিডনি অপসারণের অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তীতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রহিমা নামের ওই নারীর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর আদালতে মামলা হওয়ার ২৩ দিন পর বুধবার (৮ নভেম্বর) আদালতের নির্দেশে সদর উপজেলার বহুলা গ্রামের কবরস্থান থেকে ওই নারীর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
জানা যায়, ৯ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে রহিমা খাতুন (৫৫) চিকিৎসার জন্য গেলে তাবির হোসেন নামের এক ব্যক্তি তাদেরকে দি জাপান হসপিটালে নিয়ে যান। সেখানে যাবার পর কর্তৃপক্ষের পরামর্শে জরুরি ভিত্তিতে তার অপারেশন করেন গাইনী ডাক্তার এস কে ঘোষ । এরপর ওই নারীর অবস্থা আরও অবনতি হয়। কয়েকদিন থাকার পর কিছুটা সুস্থ হলে ১৩ সেপ্টেম্বর বাড়িতে নিয়ে যাবার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। অপারেশনের স্থান দিয়ে রক্তক্ষরণ হতে থাকে। একপর্যায়ে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষায় ধরা পড়ে জরায়ু কেটে ফেলাসহ একটি কিডনিও পাওয়া যায়নি। এর ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের পর ১৫ অক্টোবর ওই নারীর মৃত্যু হয়। রহিমা খাতুন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলা গ্রামের মৃত নুর আলীর স্ত্রী। ঘটনার পর দি জাপান বাংলাদেশ হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে কিডনি চুরিসহ নানান অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় গাইনি চিকিৎসক এস কে ঘোষ সহ ৪ জনকে আসামি করে ২৩ অক্টোবর সদর উপজেলার বহুলা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ইউনুছ মিয়ার ছেলে রহমত আলী মৃত মহিলার ভাতিজা আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এরই প্রেক্ষিতে ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাকির হোসেন হবিগঞ্জ সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসিকে ডাঃ এস.কে ঘোষসহ ৪জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার রুজু করার নির্দেশ প্রদান করেন।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল আজাদ এর আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই নারীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে সুরতাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়না তদন্তের নির্দেশ প্রদান করে আদালত। এরই প্রেক্ষিতে ২৩ দিন পর ওই নারীর লাশ উত্তোলন করা হয়। লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন নেজারত শাখার সহকারি কমিশনার মোঃ মঈন খান এলিস, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল আজাদ সহ-সদর থানার একদল পুলিশ সদস্য।

আপনার মতামত প্রকাশ করেন

আপনার মন্তব্য দিন
আপনার নাম এন্ট্রি করুন