গাজীপুরের শ্রীপুরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রের দলবল নিয়ে জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে। বাধা দিতে গিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে চার জন আহত । ভুক্তভোগীদের দাবি স্থানীয় যুবলীগ নেতা লুৎফুর রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি জামায়াতের নেতা সহ অন্তত ৫০ জন লোক বলে সমন্বয়ে লাঠি দা বড় শাবল সহ দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ও মারধর করে জমিতে কাঁটাতারের বেড়া দেয়, এমন কাজের নেতৃত্ব দিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোফাজ্জল হোসেন। তবে অভিযুক্ত নেতা তোফাজ্জল হোসেন দাবি করেন এর সবই মিথ্যা ষড়যন্ত্র ও ভিত্তিহীন।
শুক্রবার ১০ নভেম্বর সকালে উপজেলার কেউ পশ্চিম খন্ড ওসমান আলীর পৈত্রিক জমিতে এমন ঘটনা ঘটে। এতে দু পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় চারজন আহত হয়। পরে তাদের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্য চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেকর্ড করেন। ভুক্তভোগীরা জানান আরএস ১২৪ নং খতিয়ানের সাত বিঘা জমি আমাদের স্থানীয় নেতার প্রভাবে কুচক্রী মহল ভুল ফারাজ নিয়ে এসে আমাদের জমি জবরদখল করে নেয় এবং বাধা দিলে লাঠি , দা, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে আমাদের খুনের উদ্দেশে মারধর করে।
পরে ভুক্তভোগীদের পক্ষে ওসমান মিয়া শ্রীপুর থানায় তোফাজ্জল ও লুৎফর রহমানের নাম সহ অজ্ঞাত ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার বিবরণের বিষয়ে অভিযুক্তরা বলেন, ১২৪ নং খতিয়ান ও ১৩০ নং খতিয়ানের মোট ১৩০৪৮ শতাংশ জমির মালিক তারা। কিন্তু ওসমান ও মাইনুদ্দিন পীর সাহেব নিজের ইচ্ছায় জোর করে দখল করে যাচ্ছেন। এনিয়ে সামাজিকভাবে বেশকয়েকটি বিচার হলেও তিনি অবৈধভাবে ক্ষমতা দেখিয়ে তা দখল করে আসছিল। আমরা কারো জমি দখল করিনি আমরা আমাদের জমিতে বেড়া দিয়েছি। অপরদিকে ভুক্তভোগীরা জানান লুৎফর, নুরুল ইসলাম, নাজিমুদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, কাবিল মিয়া সহ অরও ২৫- ৩০ জনের একটি দল সন্ত্রাসী কায়দায় রাতের আধারে তারের বেড়া দেয় ভোরে ভুক্তভোগীরা বাড়ি থেকে বের হলে তারা বাধা প্রদান করলে অভিযুক্তরা তাদের গুন্ডাবাহিনী আক্রমণ চালায়। এ বিষয়ে সম্পৃক্ততা থাকা নিয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ওই নেতা বলেন তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অসত্য ভিত্তিহীন এবং বিএনপি জামাতের ষড়যন্ত্র বলেও দাবি করেন তিনি। সার্বিক বিষয়ের শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন , ঘটনার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি তবে জমি সংক্রান্ত কোন মামলা থানায় সুযোগ নেই। তাদেরকে জমির সংক্রান্ত বিষয়ে সমাধানের জন্য আদালতে সরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ,তবে মারধরের বিষয়ে একটি অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
