শায়েস্তাগঞ্জে শীতের শুরুতে ব্যস্ততা বেড়েছে লেপ-তোষক কারিগরদের

0
59

এমএইছ চৌধুরী, জুনাইদ শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) সংবাদদাতা :: সারা দেশের ন্যায় শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সর্বত্রই একটু একটু করে শীতের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। শীতের আগমনে দেশের সর্বত্রই ঠান্ডা জনিত রোগ বালাই এর আক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে। প্রত্যন্ত পল্লী থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় লেপ-তোষক তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোষকের কারিগররা। এবার একটু আগে থেকেই শীত নামতে শুরু করেছে। এই আগাম শীতে লেপ-তোষকের ব্যবসায়ীরা বেজায় খুশি। শায়েস্তাগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন হাট বাজারে ব্যবসায়ীরা আগাম লেপ-তোষক মওজুদ করে রেখেছেন বিক্রির জন্য।

জানা যায়, গত কয়েকদিন থেকে ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশা পড়ছে সর্বত্র। দিনে সূর্য্যরে আলো থাকলেও সন্ধ্যার পর ঘন কুয়াশার চাদরে চার দিকে ঢেকে যাচ্ছে। অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শায়েস্তাগঞ্জে শীত নামতে শুরু করেছে। আগাম শীতের কারণে লেপ-তোষক বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় বেজায় খুশি ধুনকর আর গরম কাপড় ব্যবসায়ীরা। সবাই নিজ নিজ পরিবারের সদস্যদের জন্য লেপ-তোষকসহ শীতবস্ত্র সংগ্রহ করেছেন। তেপ-তোষক তৈরীর অগ্রিম বায়না ও নিচ্ছেন কোন কোন কারিগর। বিভিন্ন ধরণের শীত বস্ত্র তৈরীর পাশাপাশি কোট-প্যান্ট তৈরির চাহিদা ও আগের তুলনায় বেড়ে গেছে।

গত কয়েকদিন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শায়েস্তাগঞ্জ দাউদনগর বাজার, পুরান বাজর, সুতাংবাজার ও আলীগঞ্জ বাজারে লেপ-তোষক কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে। এ দিকে খোলা বাজারে লেপ-তোষক তৈরীর তুলার দাম ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। শায়েস্তাগঞ্জ পৌর শহর এলাকার হবিগঞ্জ রোডের লেপ-তোষক তৈরির কারিগর মোঃ আব্দুর রশিদ  জানান,  বাজারে প্রতি কেজি গার্মেন্টস তুলা সাদা ৬০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, গার্মেন্টস তুলা কালো ৩০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, শিমুল তুলা ৭০০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা, র্কাপাস তুলা ২৬০ টাকা থেকে ২৭০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। লেপ তৈরীর লাল শালু কাপড় প্রতি গজ ৩০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রী হচ্ছে। গত বছরের তুলায় এ বছর তুলার মুল্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ বছর অন্যান্য বছরের চেয়ে চাহিদাও বেশী রয়েছে। অন্য দিকে পৌর এলাকার গ্রামাঞ্চলের গৃহবধুরা শীতের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে পুরাতন কাঁথা, কম্বলগুলো জোড়া তালী দিয়ে মেরামত করছেন। শায়েস্তাগঞ্জে একটি লেপ-তৈরীতে মানভেদে ১৩০০টাকা থেকে ১৬০০টাকা পর্যন্ত খরচ হচ্ছে। শায়েস্তাগঞ্জ পৌর শহরের পুরাণ বাজার এলাকার ব্যবসায়ী মোঃ জবরু মিয়া জানান,  গত বার ১০০০ টাকায় যে লেপ বানানো হয়েছিল এবার সেটা ১৩০০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকা খরচ পড়ছে। একটি লেপ বানাতে গত বছরের চেয়ে এবার ২০০/৩০০ টাকা বেশি খরচ হচ্ছে। এভাবেই পৌর শহরের সর্বত্র জনসাধারণ শীত মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

আপনার মতামত প্রকাশ করেন

আপনার মন্তব্য দিন
আপনার নাম এন্ট্রি করুন