জি নিউজ ডেস্কঃ গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী প্রথম জনসভায় যোগ দিয়েছেন সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে রয়েছেন শেখ রেহানা।
বুধবার (১২ ডিসেম্বর) বিকাল পৌনে ৪টার দিকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ কলেজ মাঠে জনসভায় যোগদেন প্রধানমন্ত্রী।নির্বাচনী জনসভা শুরু হওয়ার আগে সমবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। সকাল থেকেই দূর-দূরান্ত এলাকার মানুষ সমাবেশ স্থলে আসতে থাকেন।এসময় নেতাকর্মীরা ঢাকঢোল-বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে দীর্ঘপথ হেঁটে সমাবেশ স্থলে আসেন।
কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত আওয়ামী লীগ সভাপতি সুভাষ জয়ধরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ আমার লক্ষ্য ছিল বাংলার মানুষের জন্য স্বাধীনতার সুফল নিশ্চিত করা। আর এ কারণে বারবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও আমি ভয় পাইনি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাকে মারার জন্য কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল। যে বোমা পুঁতেছিল সেও কোটালীপাড়ার সন্তান। কিন্তু যে বোমা খুঁজে পেয়েছিল সেও একজন চায়ের দোকানদার। আমি ওই সময় প্রাণে বেঁচে গিয়েছি। সে চা দোকানদার বোমা উদ্ধার করেছিল আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি জানি সে আজকে এই জনসভায় উপস্থিত আছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু এখানেই নয়। আমাকে মারার জন্য ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়। ঠিক এভাবে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি বারবার কিন্তু মৃত্যুকে ভয় করিনি। কখনও ষড়যন্ত্রকে ভয় করিনি। …আমার লক্ষ্য ছিল বাংলার মানুষের জন্য স্বাধীনতার সুফল নিশ্চিত করা। এ কারণে যতই ষড়যন্ত্র হোক আমি ভয় পাইনি।’
এসময় আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আরেকবার ভোট দিয়ে দেশ সেবার সুযোগ করে দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।যুদ্ধাপরাধী-খুনীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যারা ক্ষমতায় আসতে চায়, নৌকায় ভোট দিয়ে তাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বনঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ৮টা ২২ মিনিটে নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে সড়ক পথে গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে বেলা ২টা ১০ মিনিটে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান।প্রধানমন্ত্রী প্রথমে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে যান। সেখানে তিনি বঙ্গবন্ধুর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং মোনাজাতে অংশগ্রহণ ও ফাতেহা পাঠ করেন তিনি। নিজ বাড়ি বাড়িতে দুপুরের খাবার শেষে তিনি জনসভায় যোগ দেন। শেখ হাসিনা ঢাকায় ফেরার পথে ফরিদপুরের ভাঙ্গা মোড়, ফরিদপুর মোড়, রাজবাড়ী সড়ক মোড়, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, ধামরাইয়ের রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণ এবং সাভার বাসস্ট্যান্ডে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।