জি নিউজ ডেস্কঃ টিভি চুরির অপবাদে গাছের সাথে বেঁধে উল্টো করে এক যুবককে অমানবিকভাবে নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হওয়ার পর অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে উত্তাল ঝিনাইদহের হরিনাকুণ্ডু। ঘটনার মূল হোতা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তুহিনকে গ্রেফতার করা হলেও বিচার নিয়ে সংশয়ে স্থানীয়রা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দু’দিন আগে ২৮ ডিসেম্বর ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুতে টিভি চুরির অপবাদে গাছে বেধে উল্টো করে পেটানো হয় রানাকে। উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিস থেকে টিভি চুরির অপবাদে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয় যুবকটির ওপর। তাহেরহুদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান তুহিনের নেতৃত্বেই চলে এ নির্যাতন।
ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় হয়। ঘটনার পর থানায় যেতেই সাহস পায়নি ভুক্তভোগী পরিবারটি। চুরির অপরাধে রানাকে হালকা মার দেয়া হয়েছে বলে গ্রেফতারের আগে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ নেতা তুহিন। ঘটনার পাঁচদিন পর রানার বাবা ওমর আলী মামলা করেন হরিনাকুণ্ডু থানায়। তুহিনকে প্রধান আসামি করে চারজনের নাম উল্লেখ করা হয় মামলায়। রাতেই পুলিশ গ্রেফতার করে প্রধান আসামি তুহিনকে। ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান নির্যাতিত রানার স্বজন ও এলাকাবাসী।
তথ্যসূত্রঃ বাংলাভিশন টিভি।