শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
বিদ্যুৎ লাগবে, বিদ্যুৎ? বিদ্যুৎ অফিসের এমন ডাকে প্রথমে আশ্চর্য হতে পারেন। কিন্তু বিষয়টি আশ্চর্য হলেও সত্যি। বিদ্যুৎ এখন ফেরি করে বিক্রি হচ্ছে। ভ্যান গাড়িতে মিটার তার ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নিয়ে লাইনম্যানরা একেক দিন একেক এলাকায় ছুটছেন।যাদের বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই তাদের আর অফিসে না গেলেও চলবে। যোগাযোগ করে তাদের বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে “আলোর ফেরিওয়ালা” ব্যানার লাগানো ভ্যান । ঘরে ওয়ারিং করা থাকলে কোন ঝামেলা ছাড়া ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে বিদ্যুৎ সংযোগ। সংযোগ ফি ও অন্য খরচ মিলিয়ে গ্রাহককে তাৎক্ষণিক রশিদের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করে সংযোগ নিতে পারছেন। সরকারের অঙ্গীকার মোতাবেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
এই সমিতির আওতায় ভালুকা, ত্রিশাল, মাওনা, শ্রীপুরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় “আলোর ফেরিওয়ালা” নামে একটি কার্যক্রমের মাধ্যমে একযোগে ফেরি করে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া হচ্ছে।
ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, গত রবিবার থেকে শুরু হওয়া প্রকল্পের আওতায় অন্তত ১১টি দল একযোগে কাজ করে যাচ্ছেন ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতাধীন এলাকাগুলোতে। গত দুই থেকে ৫দিনে তারা মাওনা, শ্রীপুরসহ কয়েকটি এলাকায় ৪শত গ্রাহককে মিটারসহ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন। গ্রাহকরা নিয়মানুযায়ী আবেদন ফি-১০০ টাকা, ভ্যাট-১৫ টাকা, মিটার জামানত-৪০০ টাকা ও সদস্য ফি-৫০ টাকাসহ মোট ৫৬৫ টাকা প্রদান করলেই ঘরে বসে মিটারসহ বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
ময়মনসিংহ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জিএম প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া। সে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ ফেরি করে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের বিদ্যুৎ কর্মীরা ভ্যান যোগে ফেরি করে ঘরে ঘরে মিটার সংযোগ দিচ্ছেন। দালালদের খপ্পর থেকে রেহাই পেয়ে গ্রাহকরা সহজে ঘরে বসে বিদ্যুৎ পাচ্ছেন এবং এ সুযোগ অনির্দিষ্ট কালের জন্য চলবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।