চক্রান্ত ফাঁস!! আলেমও নয় ক্বওমীয়ানও নয়! পটিয়ায় পড়ুয়াও নয়!! কিংবা দেওবন্দের ফারেগও নয়!!! নাফ বৃহত্তর ক্বওমী ছাত্র সংগঠনের বিবৃতিঃ সম্প্রতি দেশের সকল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় ইয়াবাসহ আটক দেওবন্দ ও পটিয়া মাদরাসার ছাত্র টেকনাফের শহীদ। সংবাদটি আমরা গভীরভাবে লক্ষ করেছি এবং এই ঘটনা নিয়ে ব্যপক অনুসন্ধানও চালিয়েছি। আমরা অনুসন্ধানে যা পেয়েছি তা পাঠক মহলে “নাফ বৃহত্তর ক্বওমী ছাত্র সংগঠনের” পক্ষ থেকে বিবৃতি হিসাবে প্রদান করা হল। বিবৃতি দাতাঃ মাও. আরিফুল ইসলাম রাফি সভাপতি, মাও. সাইদুল ইসলাম সায়েম সাধারণ সম্পাদক, “ নাফ বৃহত্তর কাওমী ছাত্র সংগঠন” টেকনাফ, ককসবাজার। আটককৃত ব্যক্তির পরিচয়ঃ শহীদ উল্লাহ, পিতা: মৃত আবদুল আজিজ প্রকাশ সোনালী , মাতা: দলা বিবি , গ্রাম: মিস্ত্রিপাড়া, শাহপরীরদ্বীপ, সাবরাং, টেকনাফ,ককসবাজার। শিক্ষা ও বাস্তবতাঃ শহীদ উল্লাহ শাহপরীরদ্বীপের একটি মাদরাসা থেকে শিশুকালে হিফজ শেষ করে কোন মাদরাসার নিয়মিত ছাত্রও ছিল না! তার আদর্শ খারাপ হওয়ায় কোন মাদরাসায় তাকে ছাত্রত্বের সুযোগ দিতনা! চুরির অপরাধে শহীদকে মাদরাসা থেকে শাস্তি দিয়ে বহিস্কার করা হয়েছিল। সে ভারতের দেওবন্দ ও ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রামের পটিয়া মাদরাসায় কোন সময় পড়ালেখা করেনি। আটক শহীদ আলেম নয়, কোন মাদরাসা থেকে সে দাওরা হাদিস পাশ করেনি, তার কোন সনদপত্রও নেই। কয়েক বছর আগে মালয়েশিয়া, নেপাল ও পাকিস্তান (বিমান-গাড়ী) যোগে মানব পাচারের সাথে সে জড়িত ছিল। নেপাল যাওয়ার পথে ভারত পুলিশের হাতে আটক হয়ে ১ বছর জেলে বন্দি থাকে। দেশে এসে অবৈধ মাাদকের সাথে জড়িয়ে চিহ্নিত বিপথগামী হিসাবে দিনাতিপাত করে। গত এক বছর আগেও ইয়াবাসহ আটক হয়ে দীর্ঘদিন জেলে ছিল। তার বয়স ৩০ হলেও এ যাবত ৩ টি বিয়ে করেছে। ২য় স্ত্রী তাকে চিহ্নিত বিপথগামী বুঝতে পেরে স্বেচ্ছায় চলে যায়। মাত্র কয়েক মাস পূর্বে ৩য় বিয়ে করে এলাকার বাহিরে থাকত। হঠাৎ আটক ও সংবাদঃ পরিবারের দাবী- শহীদকে ১ সপ্তাহ আগেই পাঞ্জাবী পরাবস্থায় ঢাকায় আটক করে প্রশাসন! মিডিয়ায় দেখা যায় জুব্বা পরা যেন একজন বড় মাপের আলেমকে ইয়াবাসহ পবিত্র মসজিদ থেকে আটক করেছে!! সম্মানীত পাঠকবৃন্দ! এবার আপনারা দেখুন! হুজুরের ইয়াবা ব্যবসাঃ পুরো ঘটনাটাই সিনেমাটিক! হুজুর ইয়াবা নিয়ে বের হলেন! আর ওৎ পেতে থাকা গোয়েন্দা চট করে ইয়াহু বলে ধরে ফেললেন! এবং সময়মত সময় টিভিও হাজির! দেশব্যাপি সরকারের এই চলমান মাদক বিরোধী অভিযানকে আমরা আন্তরিকতা ও সম্মানের সহিত স্বাগত জানাই। টেকনাফসহ দেশের সকল ইয়াবা ব্যবসায়ীর কঠিন শাস্তি ও তাদের অর্জিত সম্পদ জব্দ করে আগামী প্রজম্মকে রক্ষা ও শিক্ষা দেয়ার আহবান জানাচ্ছি। পরিশেষে সবাইকে অবগত করছি- দেশের ক্বওমী মাদরাসাগুলো এখনো এত নষ্ট হয়ে যায় নি যে, শহিদের মত পাপিষ্টকে লালন করবে! কিবা ধ্বংসাত্নক জঙ্গীবাদকে উৎসাহিত করবে। বস্তুত ক্বওমী মাদরাসা হল সঠিক ও সু-আদর্শবান নাগরিক ও জাতি গঠণের নিখুঁত ঠিকানা। যারা আন ক্বওমিকে ক্বওমির হুজুর বলে চালাতে চায় তাদের শত সহস্র ধিক্কার জানাই। এমন ঘৃণিত কাজের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এবং যারা এভাবে নিরীহ নিরপরাধ আলেম-উলামার পবিত্র চরিত্রে কলংক লেপনের অপচেষ্টায় লিপ্ত তাদের কঠিন বিচার চাই।