জি নিউজ ডেস্কঃ মোট ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ জন শিক্ষার্থী নিয়ে দেশের দশটি শিক্ষা বোর্ডে অধীনে শুরু হয়েছে ২০১৯ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট-এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। পরীক্ষা চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ৭০ হাজার ৪৪১ জন এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯২ জন। ২০১৮ সালের তুলনায় এ বছর এক লাখ ৩ হাজার ৪৩৪ জন শিক্ষার্থী বেশি পরীক্ষা দেবে। এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা বেড়েছে ৪৭ হাজার ২২৯ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা বেড়েছে ৫৬ হাজার ২০৫ জন।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও সকালের পরীক্ষা ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলা প্রথম পত্রের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ২০১৯ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা।বিকেলের পরীক্ষা হবে ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত। প্রতিটি পরীক্ষায়ই সব পরীক্ষার্থীকে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ করতে হবে।প্রত্যেক পরীক্ষার ২৫ মিনিট আগে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেয়া হচ্ছে।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ২৪ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্যসহ বিভিন্ন নির্দেশনা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এবার আটটি সাধারণ বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষাথীর সংখ্যা ১৭ লাখ ১০২ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ৩ লাখ ১০ হাজার ১৭২ জন এবং কারিগরি ভোকেশনাল ১ লাখ ২৫ হাজার ৫৯ জন রয়েছে। মোটে কেন্দ্রের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৯৭ এবং প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৮ হাজার ৬৮২টি। এছাড়াও বিদেশি আটটি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৪৩৪ জন্য পরীক্ষার্থী রয়েছে।
অন্যান্যবারের মতো এবারও প্রতিবন্ধীসহ অন্যরা ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময়সহ শিক্ষক/ অভিভাবক/ সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাচ্ছে।পরীক্ষা চলাকালীন পুরো সময়টায় ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে নজরদারি থাকবে মনিটরিং কমিটির।কেন্দ্র সচিব ছাড়া (ছবি তোলা যায় না এমন ফোন) অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। সূত্রঃ চ্যানেল আই।